শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
ভারতে লোকসভা নির্বাচন

দ্বিতীয় দফার ভোটে বিপুল উপস্থিতি

প্রতিদিন ডেস্ক

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। প্রচণ্ড গরম, তাপপ্রবাহ ও আর্দ্রতা উপেক্ষা করে বিপুলসংখ্যক ভোটার এ দফায় ভোট দেয়। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসন এবং কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের ১ হাজার ২০২ জন প্রার্থী গতকালের ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীও আছেন। তাঁরা হলেন রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, হেমা মালিনী। ভারতের প্রধান বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সাবেক প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়ানাড আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কে সুরেন্দ্রন তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি কেরালা বিজেপি সভাপতি। আরেক আলোচিত প্রার্থী শশী থারুর। জাতিসংঘের সাবেক এই কূটনীতিক ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের হয়ে কেরালার থিরুভানানথাপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। লেখক শশী থারুর ২০০৯ সাল থেকে এ আসনে জয়ী হয়ে আসছেন। তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি নরেন্দ্র মোদি সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া বলিউড তারকা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া হেমা মালিনী এবার লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের মথুরা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি বিজেপি প্রার্থী। হেমা মালিনী গত দুই মেয়াদে আসনটি ধরে রেখেছেন। কংগ্রেস দলের প্রার্থী মুকেশ ধাঙ্গার তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এদিন অন্তত ১৫ কোটি ৮৮ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। তবে ভারতের বিভিন্ন অংশে চলমান তাপপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে উত্তরের রাজ্য বিহারের চার আসনের বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোটের সময় বাড়িয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আগামী ১ জুনের মধ্যে বাকি পাঁচ পর্যায়ের ভোট শেষে ৪ জুন গণনা শুরু হবে।

গতকালের ভোট সম্পর্কে পর্যবেক্ষকরা জানান, অন্তত ৭০ শতাংশ ভোটার এদিন ভোট দিয়েছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের এ ভোটে ১ হাজার ২০২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৯৮ জন পুরুষ, ১০২ জন নারী ও দুজন তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ও নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তাদের পরিবহনের জন্য এদিন অন্তত তিনটি হেলিকপ্টার, চারটি বিশেষ ট্রেন ও ৮০ হাজার গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। ৫০ শতাংশের বেশি কেন্দ্রে ইন্টারনেটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়। এ নির্বাচনের সময় বড় ধরনের কোনো অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সহিংসতায় মণিপুরের ১১ কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং আগামী সোমবার এসব কেন্দ্রে আবার ভোট হবে।

দ্বিতীয় দফায় যে ১৩ রাজ্যে ভোট হয়েছে সেগুলো হলো : আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ। এর মধ্যে আসামে ৫, বিহারে ৫, ছত্তিশগড়ে ৩, জম্মু ও কাশ্মীরে ১, কর্ণাটকে ১৪, কেরালায় ২০, মধ্যপ্রদেশে ৬, মহারাষ্ট্রে ৮, মণিপুরে ১, রাজস্থানে ১৩, ত্রিপুরায় ১, উত্তর প্রদেশে ৮ ও পশ্চিমবঙ্গে ৩টি আসন রয়েছে।

সর্বশেষ খবর