উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে একটা জাল ভোট পড়লেই সেই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান। এ নির্দেশনা ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আগামী ৮ মে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নানা দিকনির্দেশনা দেন তিনি। এর আগে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বৈঠক করেন। গতকাল সকালে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনার বলেন, যদি ভোট কেন্দ্রে কেউ অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে বা স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ডেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ভোট কার্যক্রম শুরু করা হবে। আর যদি এর থেকেও শক্তিশালী ঘটনা ঘটে- যেমন ভোট কেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। তাহলে ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে চলে যান, ভেগে যান কিন্তু কোনো প্রকার সহিংসতাকে গ্রহণ করা হবে না। পরিষ্কারভাবে এ নির্দেশনা সবাইকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, এটা আপনারা ইতিপূর্বেও দেখে এসেছেন। যা সবার সহযোগিতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রমাণ করেছি। প্রতিটি নির্বাচনই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের বিবেক এবং ইমানের ওপর নির্ভর করে সঠিকভাবে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বলা হয়েছে। তাদের সাংবাদিকদের বিষয়ে বলা হয়েছে। সাংবাদিকরা আমাদের পাশে থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেন, তারা আমাদের থার্ড আই এবং ইয়ার হিসেবে কাজ করছেন। তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় তারাই পাবে যারা অসাধুপায়ে জাল ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করতে চান। আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকরা যখন ঢুকবে, তখন অনুমতির দরকার নেই। কেন্দ্রে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারকে অবহিত করবে। তারপর তিনি নিয়মানুযায়ী যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবেন এবং ছবি ও ভিডিও নিতে পারবেন। ভোট গণনার সময়ও ক্যামেরা ধরে রাখা যাবে, শুধু লাইভটা ভোট কক্ষের বাইরে দেবেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী, রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান, পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।