নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলোয় বাবুল মিয়া ও আবু ইউসুফ নামে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। বাবুল ও ইউসুফ যে বাড়িতে কাজের সময় রবিবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান, সে বাড়ির পাশের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই যুবককে শনাক্তের পর তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তথ্যদাতাকে বাফেলো পুলিশ সাড়ে ৭ হাজার ডলার পুরস্কার দেবে বলে ঘোষণা করেছিল।

বাবুল-ইউসুফ হত্যার প্রতিবাদে রবিবার বিকালে বাফেলো মুসলিম সেন্টারের সামনে অনুষ্ঠিত বিরাট সমাবেশে বক্তারা দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বিক্ষোভ-সমাবেশে এসেছিলেন বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডব্লিউ ব্রাউন, বাফেলো পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা এসেছিলেন কমিউনিটির এ সংকটের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য। এ বিশাল বিক্ষোভের ঘণ্টা দুয়েক পরই সন্দেহভাজন দুর্বৃত্তকে সিটির ইস্ট ডেলাভান এবং নর্থ র্ফক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সংবাদে কমিউনিটিতে কিছুটা স্বস্তি এলেও নিরাপত্তাহীনতা কমেনি মোটেও। কারণ, বাবুল মিয়া ও আবু ইউসুফকে একটি বাড়ি মেরামতের সময় কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই গুলি করে হত্যা করা হয়। বিক্ষোভ-সমাবেশে কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে ছিলেন- বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার অব বাফেলোর সভাপতি এ কে এম ফাহিম, আল ইসান জামে মসজিদের সভাপতি ও বৃহত্তর কুমিল্লা সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ব্যবসায়ী আবুল বাসার, পিবিসি টুয়েন্টিফোর টেলিভিশন সম্পাদক মতিউর রহমান লিটু, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল মোস্তফা (জাভেদ), বাফেলো বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ বেলাল, বরিশাল সোসাইটি অব বাফেলোর সভাপতি সৈয়দ ঝিলু, সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান মিয়া, বায়তুল মোকাররম মসজিদের সভাপতি কবির পোদ্দার, হোম ওনার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল হোসেন। কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্টদের মধ্যে ছিলেন ড. ফাহিম তাজওয়া, ড. মোমিন উল্লাহ, মইনুল হোসেন, আবদুল মান্নান তাজু, মারুফ আহাম্মেদ, ফাইজুর রহমান, জামাল উদ্দিন, বোরহান আলী, খালেদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।