মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফসলি জমি অন্য খাতে ব্যবহারে লাগবে অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে কৃষি জমি অন্য খাতে ব্যবহারের সুযোগ নেই। বিশেষ করে তিন ফসলি ও দো-ফসলি জমি কোনো ক্রমেই অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না। এক ফসলি জমি অন্য খাতে ব্যবহার করতে হলে সরকারের অনুমতি লাগবে। আমরা সেই আইনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

গতকাল সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুস সবুর মণ্ডল, রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর শস্য ভান্ডার। এসব জমি আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা সবার সহযোগিতা চাই। সুন্দর ভূমি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য যেন খাদ্য নিশ্চিত করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, নদী-নালা, খালবিল, জলাশয় উদ্ধারের বিষয়ে প্রতিটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা ও মৌজা অনুযায়ী খালবিল ও খাস জমির তালিকা রয়েছে। খাস জমি, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হবে ডিজিটাল জরিপে। সেই জরিপের ওপর নির্ভর করে খতিয়ান ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমিসেবায় হয়রানি বন্ধে ভূমিসেবায় ই-নামজারি, ই-খাজনা দেওয়া চালু করা হয়েছে। কোনো গ্রাহককে অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। এ ছাড়া আমরা পর্যায়ক্রমে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ভূমিসেবাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব যেন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যাবে একজন ব্যক্তির কী পরিমাণ এবং কোন খতিয়ানে কত জমি রয়েছে। ফলে জাল দলিলের সমস্যা আর হবে না।

 

 

 

 

সর্বশেষ খবর