বুধবার, ১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক নিয়ে বললেন জয়শঙ্কর

বড় সুবিধাভোগী উত্তর-পূর্ব ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বড় সুবিধাভোগী উত্তর-পূর্ব ভারত

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির বড় সুবিধাভোগী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর। তাঁর দাবি, ভারত-বিভাজন উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাকৃতিক সংযোগকে ভেঙে দিয়েছিল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে সোমবার তিনি এই মন্তব্য করেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিরোরি মাল কলেজে ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং জাপানের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের এশীকরণ : অর্থনৈতিক বন্ধন এবং পরিবেশগত সংরক্ষণের ভারসাম্য’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর বলেন, পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার এবং তাইওয়ানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি গত এক দশকে নয়াদিল্লিকে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, দেশভাগ তথা ভারত বিভাজনের প্রভাব প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক বাধার পাশাপাশি প্রশাসনিক সমস্যার কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নতিকে প্রভাবিত করেছিল। জয়শঙ্করের ভাষায়, উত্তর-পূর্ব ভারতের যে প্রাকৃতিক সংযোগ ছিল বা যে সংযোগ এই অঞ্চল উপভোগ করত ভারত বিভক্তির ফলে তা অনেক উপায়ে ভেঙে গেছে। এর ফলস্বরূপ উত্তর-পূর্বে যে মাত্রায় প্রবৃদ্ধি দেখা উচিত ছিল তা মন্থর হয়ে যায়। বিভাজনের পর প্রথম কয়েক দশকে দেশের অন্যান্য অংশগুলোর তুলনায় রাজনৈতিক বাধা এবং প্রশাসনিক সমস্যার কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চল সেভাবে কোনো সুবিধা পায়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বে বর্তমান অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা একটি শক্তিশালী ফ্রন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যদি গত দশকের দিকে তাকাই, তাহলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতির জন্য বড় সুবিধাভোগী হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত। ভারতীয় এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন ২০১৫ সালে স্থল সীমানা চুক্তি করেছিলাম, তখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নতুন স্তরের আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল। আমরা দেখেছি, অন্যান্য অনেক সমস্যার সমাধান হচ্ছে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ এবং অস্থিতিশীলতা মোকাবিলা-সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর। তার ভাষায়, আমরা এখন যা দেখছি, সত্যি কথা বলতে, ইতিহাস যদি আমাদের প্রতি সদয় হতো তাহলে আরও আগেই এগুলো হওয়া উচিত ছিল। আমি সবসময় বলে থাকি, ভারতকে পূর্ব দিকে তাকানোর জন্য দিল্লিকে প্রথমে পূর্ব দিকে তাকানো উচিত এবং উত্তর-পূর্ব দিকে দেখা উচিত। তখনই কেবল উত্তর-পূর্বের সম্ভাবনার পূর্ণ ও যথাযথভাবে সমাদর করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর