কক্সবাজারের (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফেরার পথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন বলে তিনি দাবি করছেন।

গতকাল বিকাল পাঁচটায় টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্বরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়াপাড়া এলাকায় আমাকে লক্ষ্য করে সংসদ সদস্য স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি থেকে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আহমদ পরপর দুই রাউন্ড গুলি চালায়। কৌশল অবলম্বন করায় গুলি আমার গায়ে লাগেনি। আমি বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন  আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে জানিয়েছি। পাশাপাশি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে গণমাধ্যমকে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম জানান, ‘গুলির ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নিয়ে গেছে। খবর শুনে আমি আর বদি ভাই সেখানে যাই। সেখানে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন আবদুর রহমান বদিও। তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই গুলি ছোড়া হয়নি। তবে ঘটনার সময় দুটি পটকার আওয়াজ শোনা গেছে।’

টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফরিদুল আলম জুয়েল বলেন, ‘সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আহমদ নিজেরাই অস্ত্র হাতে গুলি ছুড়েছেন। আমাদের প্রার্থী নুরুল আলম কৌশল অবলম্বন করার কারণে রক্ষা পেয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে অত্যধিক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি।’