মামলার জট কমাতে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এ সংক্রান্ত আইন তৈরির কার্যক্রমও শেষ করে আনা হয়েছে বলে তিনি জানান। গতকাল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মামলার জট বেড়েছে সঠিক। তবে আমরা আদালত সৃজন করে বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়েছি। আগে কখনো বিচারকের পদ শূন্য হওয়ার আগে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস ক্যাডারে পরীক্ষা নিয়ে রিজার্ভ বিচারকের ব্যবস্থা ছিল না। এখন আমরা সেটা করি যাতে কোনো বিচারক অবসরে গেলে সেই পদটা যেন খালি না থাকে, তাড়াতাড়ি যেন সেখানে বিচারক দিতে পারি। এ ছাড়া বিচারকের পদ সৃজন এবং আদালত সৃজন দুটির জন্য আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখেছি এবং সেখানে ১৭৮টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেটা হলে আমার মনে হয় মামলার জট কমানো যাবে। মামলার জট কমানোর জন্য অন্যান্য চেষ্টাও হচ্ছে। আইনমন্ত্রী বলেন, আগে হাই কোর্ট বিভাগে বিচারপতি ছিলেন অন্ততপক্ষে ১০০ জন, এখন অবসরে গেছেন অনেকে, আপিল বিভাগে গেছেন অনেকে। এখন সংখ্যা নেমে এসেছে ৮৪ জনে। আমি সংসদকে বলতে পারি রাষ্ট্রপতি তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে খুব শিগগিরই হাই কোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। আরেকটা কথা বলতে চাই, বিচাপতি নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় আইন আমরা শেষ করে এনেছি। এটা নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য খুব শিগগিরই একটা সময় ও তারিখ দেওয়া হবে।