বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে জ্বালানির দামে। বাড়তে পারে আমদানিকৃত সারের দামও। এ ছাড়া ডলারের দাম বাড়ার তেমন কোনো প্রভাব নেই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ১১০ টাকা প্রতি ডলারের দাম ধরে বড় ধরনের কোনো লেনদেন হয়নি। আমদানিকারকদের কাছে ডলারের দাম ১১৭ টাকার ওপরেই ছিল। ফলে ৭ টাকা বাড়ানোর প্রভাব খুব একটা পড়বে বলে মনে হচ্ছে না। যেসব পণ্যের দাম নির্ধারণে ডলারের দাম ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হতো, সেসব পণ্যের দামের ওপর প্রভাব পড়বে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এখন যে নতুন ফর্মুলায় জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করছে, সেখানে প্রভাব পড়তে পারে। ডিজেল, পেট্রল, অকটেন, কেরোসিন আমদানিতে ১১০ টাকার বদলে ১১৭ টাকায় দাম নির্ধারণ হবে। আগামী মাসে দেখতে পারব এই ডলারের দাম বাড়ায় তেলের দাম বাড়বে। তারপর বিসিআইসি আমদানি করা সারের দাম বাড়তে পারে। এ ছাড়াও বিসিআইসি ১১০ টাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার কিনত। এখন তো বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কাছে বিক্রি করতে হলে ১১৭ টাকায় বিক্রি করা লাগবে। এসব ক্ষেত্রে বাজারে প্রভাব পড়বে।
ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সুদের হার বাজারভিত্তিক ২০২০ সালেও ছিল। আমরা এখন সেই পলিসিতে আবার ফিরে গেছি। এটা নতুন কিছু না। এখানে নীতিবাচক থেকে ইতিবাচক দিকটাই বেশি। আগে যেখানে ঋণ যেত না সেখানে আবার ঋণ যাবে। এর ফলে ঋণের বণ্টনের দক্ষতা বাড়ার কথা। এ ছাড়া ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার বাড়বে। ঋণগ্রহীতাদের ঋণের খরচ বাড়তে পারে।