শিরোনাম
শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভোটের আগে জামিন পেলেন কেজরিওয়াল

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কারাবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জন্য আগামী ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছেন। এই দিল্লির তিহার জেলে বন্দি কেজরিওয়াল। শুক্রবারই কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাঁকে গ্রেফতারের পরই তিনি শীর্ষ আদালতে তা চ্যালেঞ্জ করেন। পরবর্তীতে ভারতের চলমান লোকসভা নির্বাচনি প্রচারণায় তিনি যাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন সে ব্যাপারেও আদালতকে আর্জি জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। শুক্রবার সেই সম্পর্কিত মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে। দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ১ জুন পর্যন্ত কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ দেন। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে আম আদমি পার্টির (আপ) মনোবল অনেকটাই চাঙা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ দেশজুড়ে আপ প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে কেজরিওয়ালের কোনো বাধাই থাকল না। বিশেষ করে দিল্লি এবং পাঞ্জাবে যেখানে আপ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, সেই দিল্লিতে ভোট রয়েছে আগামী ২৫ মে এবং আগামী ১ জুন শেষ দফায় ভোট রয়েছে পাঞ্জাবে। ফলে আপ প্রধানের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অর্থ পাচার সম্পর্কিত আইনে (পিএমএলএ) ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। ১ এপ্রিল দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে তোলা হলে তাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত।

এদিন কেজরিওয়ালের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আদালতের কাছে আর্জি জানান তার মক্কেল কেজরিওয়ালের জামিনের মেয়াদ যেন আগামী ৫ জুন পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু বিচারপতি সঞ্জীব খান্না পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন ‘না’। অন্যদিকে ইডির হয়ে এ মামলায় সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। এদিকে কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুরকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি লিখেছেন ‘আমি খুব খুশি যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। চলমান নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে তার এই জামিন খুবই সহায়ক হবে।’ দিল্লি এবং হরিয়ানায় কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দীপক বাবারিয়া জানান, ‘দিল্লির পলিসি হলো বিরোধী দলের নেতাদের জেলে পুরে রাখা এবং তাদের নির্বাচনি প্রচারণা করতে না দেওয়া। তারা (বিজেপি) যে ধরনের একনায়কতন্ত্র চালু করেছে কেজরিওয়ালের জামিন সেখানে ফুলস্টপের কাজ করেছে। গোটা দেশজুড়ে বিজেপি পরাজয়ের ভয়ে কাঁপছে। বিজেপি নেতা এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘এটা কী ধরনের জামিন? শীর্ষ আদালত বলেছেন আপনি (কেজরিওয়াল) চোর। কিন্তু নির্বাচনি প্রচারণার জন্য আপনাকে এক মাসের জন্য জামিন দেওয়া হলো। ২ তারিখে আবার এসে হাজিরা দেবেন। একে কি জামিন বলে? কোনো সম্মানীয় ব্যক্তিই এভাবে জামিন নেবেই না।

সর্বশেষ খবর