রবিবার, ১২ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভিসা জটিলতায় অনেকের হজযাত্রা অনিশ্চিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রা শুরু হলেও ভিসা জটিলতায় এখনো হাজার হাজার হজযাত্রীর অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। দুই দফা সময় বাড়ানোর পরও অনেকের ভিসা প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি এজেন্সিগুলো। এ জন্য ভিসার আবেদন নেওয়ার সময় বৃদ্ধির জন্য আবারও সৌদি সরকারকে পত্র দেওয়া হয়েছে। এর আগে বেশির ভাগ হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময়  বাড়ানো হয়েছিল ১১ মে পর্যন্ত। গত ৯ মে থেকে চলতি বছরের পবিত্র হজের ফ্লাইট শুরু হয়েছে।  গতকাল সকালে হজ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। গতকাল শেষ দিনেও অনেকেই ভিসার আবেদন করেছেন। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত হিসাবে ভিসা এনরুলমেন্ট হয়েছে ৮১ হাজার ৮৬৮ জনের। একই সঙ্গে ৬০ হাজার ৫৬টি ভিসা প্রিন্ট হয়েছে। এরপরও আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়েল মাধ্যমে ভিসার আবেদন বৃদ্ধির জন্য সৌদি সরকারকে পত্র দিয়েছি। আশা করছি সময় বাড়বে।  বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখনো যাদের ভিসা হয়নি, তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, বেশির ভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের সচিব মো. মতিউল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল রাতে বলেন, আমারা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছি সৌদি সরকারকে। সময় বাড়বে আশা করছি। না বাড়ালে এখানে কিছু করার নেই তবে সিস্টেমে এখনো ভিসার আবেদন নিচ্ছে। এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

সর্বশেষ খবর