রবিবার, ১২ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
আসাদুজ্জামান খান

সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে পূরণ করতে পারিনি অনেক স্বপ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের পর আমিও সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম। মহান রব্বুল আলামিন এক রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন কিন্তু রাজনীতিতে বোধ হয় ওই রাস্তাটা খোলা রেখেছিলেন। আমার অনেক আশা-আকাক্সক্ষা ছিল যে আমি এটা হব, সেটা হব। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় আমার সব স্বপ্ন স্তম্ভিত হয়ে গেছে। গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর দশম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ হাজার ২৪ জন। এটা বেশ উল্লেখযোগ্য একটা সংখ্যা। সড়ক দুর্ঘটনা এখন দেশে জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে সার্বিক পদক্ষেপ থাকা প্রয়োজন। বিভিন্ন সংগঠন ও নিসচার দাবির ফলে সরকার ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে ও পালন করে আসছে। তিনি বলেন, সড়ক আইন সংসদে পাসের কাছাকাছি চলে এসেছে। এখানে চালক, সহযোগী, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্টের এজেন্সি সবারই তাদের দায়িত্বটা যথারীতিভাবে বিশ্লেষণ হয়েছে। কার দায় কত, কার কত শাস্তি হবে সেটা বলা হয়েছে। শহরে ২৫ ভাগ সড়ক থাকা প্রয়োজন। আমাদের দেশে কোনো শহরে তা নেই। এর জন্য উড়ালসড়ক, ফ্লাইওভার হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ছয় দফা নির্দেশনাও দিয়েছেন। আমরা জেনেও আইন মানি না। এতে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ আগে খতিয়ে দেখা উচিত। সবচেয়ে বেশি সচেতনতার অভাব। অদক্ষ ও অসচেতন চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, চালকের মোবাইল ফোনে কথা বলা, অনিরাপদ ও ভঙ্গুর সড়ক, ট্রাফিক আইন মেনে না চলা, পুলিশের গাফিলতি, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি-এমন অনেক কারণ আছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, সড়ক নিরাপদ করতে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। এজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

সর্বশেষ খবর