মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর পাঁচ বছর জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির দায়ে রাজধানীর পল্টন থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। ইতোমধ্যে তিথি এ মামলায় ২২ মাস কারাভোগ করেছেন। পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে তার ২২ মাসের কারাভোগের সময় বাদ যাবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। রায়ের পর তিথির আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সংশোধন হওয়ার জন্য তার বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করাসহ আট শর্তে তাকে এক বছরের প্রবেশনের জন্য মুক্তি দেন আদালত। এ সময় তিনি প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। তিনি প্রবেশনের শর্তগুলো পূরণ করলে তাকে আর সাজা না-ও খাটতে হতে পারে।

সাজা হওয়া মামলাটির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চার তলা থেকে তিথি সরকারকে ‘হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে’ বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় ওই বছরের ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। ২০২১ সালের ১৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান তিথি সরকার ও তার স্বামী শিপলু মল্লিকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ৪ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের সে সময়কার বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন শিপলু মল্লিককে বাদ দিয়ে তিথি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর তার পরিবার থেকে অভিযোগ আসে তিথি নিখোঁজ।

সর্বশেষ খবর