শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও পুলিশ

প্রতিদিন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ইরভিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একটি লেকচার হল থেকে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। হলটি টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে আটকে রেখেছিল তারা। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি ক্যাম্পও ভেঙে দিয়েছে পুলিশ।

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পটিতে অবস্থান করছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিক্ষোভকারীরা লেকচার হলটি দখল করেছিল, যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এ ঘটনাকে একটি ‘হিংসামূলক প্রতিবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করে পুলিশের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রায় ১০টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হন এবং বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে প্রায় ৪০ মাইল (৬৫ কিলোমিটার) দক্ষিণে ইরভিন শহরে এ বিক্ষোভ হচ্ছে। গাজা যুদ্ধ কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বেসামরিকদের জীবনরক্ষার আহ্বান জানিয়ে সর্বশেষ ইরভিনে বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনপন্থিরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসরায়েলি স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব ধরনের সম্পর্ক থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছে তারা।

যুদ্ধ শেষে গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েন চায় যুক্তরাষ্ট্র : ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাত শেষে উপত্যকাটিতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ওই বাহিনীতে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। গাজায় আবার হামাসের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা ঠেকাতে এবং উপত্যকাটিকে নিরাপদ করতেই এমন পদক্ষেপ চায় তারা। সূত্র : দ্য টাইমস অব ইসরায়েল খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই প্রস্তাব মিসর, ইউএই ও মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে। তবে তাদের একটি শর্ত রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে দেশ তিনটি চায় ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিক যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজেদের সেনাদের যুক্ত করার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো।

যদিও গাজায় কোনো এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনীর  মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে তারা। কারণ, সংঘাত শেষে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থানের বিকল্প কোনো বাহিনী আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না ইসরায়েল। আর আরব দেশগুলো পশ্চিমাদের কাছে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তবে পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশই এই স্বীকৃতি দেওয়ার কাছাকাছি রয়েছে।

সর্বশেষ খবর