দুই দিনের সফরে আগামীকাল ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় সফরও এটি। বাংলাদেশ সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনির সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার, রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন, শিক্ষা, ব্লু-ইকোনমিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যু উঠে আসবে আলোচনার টেবিলে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত-এ চার দেশের জোট কোয়াড। চীনবিরোধী বলে পরিচিত এই জোটে বাংলাদেশকে অনেক আগ থেকে টানার চেষ্টা করছে। কোয়াড জোট ইন্দো-প্যাসিফিকের দেশগুলোকে অংশীদার বানাতে আগ্রহী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রতো ইন্দো-প্যাসিফিকে বাংলাদেশকে অংশীদার মনে করে। তবে বাংলাদেশের স্পষ্ট বার্তা ইন্দো-প্যাসিফিকের কোনো সামরিক কর্মকান্ডে নয়, বরং অর্থনৈতিক কোনো সুবিধা থাকলে তাতে যুক্ত হতে আপত্তি নেই। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকা সফরের সময় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাইবে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২১-২২ মে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সফর করবেন। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে অস্ট্রেলিয়া সরকারের তরফ থেকে প্রথম উচ্চপর্যায়ের সফর। গত জানুয়ারিতে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখা চিঠিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেছিলেন, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে সরকারপ্রধানের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ। তখন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এখন ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়ে সে বার্তাই পৌঁছে দিতে চান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০১৯ সালে তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন বাংলাদেশ সফর করেন। ভারত মহাসাগরীয় তীরবর্তী দেশগুলোর জোট ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নিতে পেইন ঢাকা সফর করেছিলেন।