বুধবার, ২২ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
আর্টিকেল নাইনটিন

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় ১২৮তম বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় সারা বিশ্বে ১২৮তম হয়েছে বাংলাদেশ। মতপ্রকাশে বাংলাদেশের স্কোর ১২। এর আগে ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩০তম। আর্টিকেল নাইনটিনের বৈশ্বিক মতপ্রকাশ রিপোর্ট-২০২৪ এ বাংলাদেশের এই অবস্থান উঠে এসেছে।

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকটজনক। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের মতো সংকটজনক অবস্থায় আছে ভারত ও আফগানিস্তান। ২০১৮-২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মতপ্রকাশের স্কোর আটকে আছে ১১ ও ১২ এর মধ্যে। ১০ বছরে বাংলাদেশের স্কোর কমেছে ৮ পয়েন্ট, দুই যুগে কমেছে ৩২ পয়েন্ট। ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৪।  ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবেদনটি নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে আর্টিকেল নাইনটিন। সবার স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, যোগাযোগ এবং অংশগ্রহণ ইত্যাদিসহ ২৫টি সূচকের বিপরীতে মতপ্রকাশ বা এক্সপ্রেশন স্কোর নির্ধারণ করে সংস্থাটি।

স্কোর অনুযায়ী, ০-১৯ স্কোর সংকটজনক, ২০-৩৯ অতিবাধাগ্রস্ত, ৪০-৫৯ বাধাগ্রস্ত, ৬০-৭৯ স্বল্প বাধাগ্রস্ত ও ৮০-১০০ মুক্ত। আর্টিকেল নাইনটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪টি দেশে মতপ্রকাশ অতি বাধাগ্রস্ত, ২৫টি দেশে বাধাগ্রস্ত, ৩৫টি দেশে স্বল্প বাধাগ্রস্ত ও মতপ্রকাশের মুক্ত শ্রেণিতে রয়েছে ৩৮টি দেশ।

বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫টি সূচকের মধ্যে সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের স্কোর সম্পূর্ণ ঋণাত্মক। ২০০৯ সাল থেকে আটটি সূচকেই ক্রমাগত খারাপ করে বাংলাদেশ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেন্সরশিপে। ধর্ম পালন ও নারী পুরুষের আলোচনার স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ইতিবাচক। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সমাবেশ করার স্বাধীনতা ও অ্যাকাডেমিক-সাংস্কৃতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্কোরে।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমে নাগরিক সমাজের জন্য ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। আইন করা হচ্ছে নিবর্তনমূলক, ব্যক্তির পরিচয় ভেদে ভালো আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান ও বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সর্বশেষ খবর