শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শান্তদের লজ্জার হার

আসিফ ইকবাল

ডারবানে ২০০৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে লজ্জাজনক হার উপহার দিয়েছিল কানাডা। ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের অন্যতম বড় অঘটন হিসেবে ধরা হয় ওই ম্যাচটিকে। ক্রিকেট ঐতিহ্যে কানাডার ধারে কাছে নেই প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্র। অভিবাসীদের নিয়ে গড়া দলটির অধিকাংশ ক্রিকেটারই ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের। এমন অভিবাসীদের নিয়ে গড়া দলটি এবার প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ খেলছে। বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে যুক্তরাষ্ট্র গতকাল অঘটনের জন্ম দিয়েছে। টানা দুটি টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে লজ্জাজনক সিরিজ হারে সিক্ত করেছে। ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি নাজমুলরা হেরেছিলেন ৫ উইকেটে। গতকাল ৬ রানে হেরেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে লজ্জাজনক টি-২০ সিরিজ হার। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় সিরিজ জয় এটি। এই প্রথম দেশটি কোনো টেষ্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ জিতেছে। প্রথম ম্যাচের পর গতকালও শতভাগ ব্যাটিং ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা। আগামীকাল ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের শেষটি রূপ নিল আনুষ্ঠানিকতায়।     

টার্গেট ১৪৫ রান। ওভারপ্রতি ৭.২১। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ রান। এক চারে ৫ রান নেওয়ার পর শেষ ব্যাটার হিসেবে রিশাদ আউট হতেই জয়োৎসবে মেতে ওঠে মার্কিন ক্রিকেটাররা। দুই ওপেনার তানজিদ ও সৌম্য সরকার জয়ের টার্গেটে প্রথম ওভারেই বিচ্ছিন্ন হন। ইনিংসের চতুর্থ বলে সৌম্য ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফিরতি ক্যাচ দেন নেত্রাভাকারকে। এরপর তানজিদ ও অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ২৯ রান যোগ করেন। দলীয় ৩০ রানে তানজিদ অহেতুক পুল খেলে জাসদ্বীপের বলে বোল্ড হন। সিরিজে প্রথমবার খেলে ১৫ রান করেন তানজিদ। ৩০ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর নাজমুল ও তৌহিদ হৃদয় জুটি বাঁধেন তৃতীয় উইকেট জুটিতে। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২ উইকেটে ৪৩ রান। ১০ ওভারে সংগ্রহ করে ৭৬ রান ২ উইকেটে।

ভালো খেলতে থাকা নাজমুল রান আউট হন তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে দলীয় ৭৮ রানে। নাজমুল ৩৬ রান করেন ৩৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায়। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা তৌহিদ ব্যক্তিগত ২৫ রানে বোল্ড হন অ্যান্ডারসনের বলে। ইনিংসের ১৪.৪ ওভারে দলীয় ১০৬ রানে মাহমুদুল্লাহ বোল্ড হন। ভরসা ছিলেন সাকিব। ব্যক্তিগত ৩০ রানে প্লেড অন হন আতহারের বলে। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৯.৩ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।           

দুই পরিবর্তন নিয়ে খেলেছে টাইগাররা। স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদির জায়গায় খেলানো হয় পেসার তানজিদ সাকিবকে। লিটন দাসের বদলে খেলেছেন তানজিদ তামিম। জীবন-বাঁচা ম্যাচে টস জিতে টাইগার অধিনায়ক ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান যুক্তরাষ্ট্রকে। দুই মার্কিন ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেল ৪৪ রানের ভিত দেন ৬.৪ ওভারে। টেইলর ২৮ বলে ৩১ রানে ডিপ স্কয়ার লেগে তানজিদের ক্যাচ হন রিশাদের বলে। পরের বলে রিশাদ গুগলিতে বোল্ড করেন অ্যানপ্রিস গাওসকে। এরপর ২ উইকেটে ৪৪ রান থেকে দলকে টেনে নেন তৃতীয় উইকেট জুটিতে মোনাঙ্ক ও অ্যারন জোন্স। দুজনে ৯.২ ওভার বা ৫৬ বলে যোগ করেন ৬০ রান। জোন্স ৩৫ রান করেন ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায়। মোনাঙ্ক ৩৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে বোল্ড হন শরিফুল্লাহর বলে। স্বাগতিকরা প্রথম ১০ ওভারে সংগ্রহ করে ২ উইকেটে ৬৮ রান। শেষ ১০ ওভারে ৭৬ রান। যুক্তরাষ্ট্র সংগ্রহ করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান।

সর্বশেষ খবর