শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্মার্ট দেশ গড়তে জুডিশিয়ালিকেও স্মার্ট করতে হবে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

স্মার্ট দেশ গড়তে জুডিশিয়ালিকেও স্মার্ট করতে হবে

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে, জুডিশিয়ালিকেও স্মার্ট করতে হবে। এ স্মার্ট জুডিশিয়ালি করার ক্ষেত্রে ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠা একটি পদক্ষেপ মাত্র। ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার বাংলাদেশের সব নাগরিকের রয়েছে, এটা সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে। প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়ার। মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন, সে আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছে। আদালতে বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্যই আসেন। আদালতের কর্তব্য হচ্ছে বিচার প্রার্থী সব নাগরিকের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি বিচার প্রার্থীদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল বিকালে দিনাজপুর জেলা জজ আদালতে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, জেলা ও দায়রা জজ মো. যাবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদসহ বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আদালত প্রাঙ্গণে একটি বকুল ফুলের চারা এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম একটি সবেদা ফলের গাছের চারা রোপণ করেন।

দিনাজপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন জানান, ন্যায়কুঞ্জের আয়তন ১ হাজার বর্গফুট। অত্যাধুনিক নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে ডিজাইন করা সুপরিসর আধুনিক বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জে একত্রে ১০০ জন বিচার প্রার্থীর বসার জায়গা, ওয়াশরুম, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা কক্ষে বসার ব্যবস্থাসহ বহুমুখী সুবিধা থাকবে। ৫২ লাখ টাকা  এ ন্যায়কুঞ্জের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর