সিলেটের আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) এর মালিকানাধীন কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৮ নম্বর কূপে খননকাজ শেষে গ্যাস প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই কূপ থেকে প্রতিদিন ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এসজিএফএল কর্মকর্তারা। এ নিয়ে গত সাত মাসে সিলেটের চারটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলল। এসজিএফএলের তথ্য অনুযায়ী, প্রাকৃতিক সম্পদের আঁধার হিসেবে পরিচিত সিলেটে গত বছর থেকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কাজ শুরু হয়। তারই অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে খননকাজ শুরু হয়। প্রায় দেড়শ কোটি টাকা খরচে এই কূপ খনন করা হয়। সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা এ উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিতে চায়। আর সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে শুধু এসজিএফএলের আওতাধীন গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ‘গত বছরের জানুয়ারি থেকে কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপে খননকাজ শুরু করে বাপেক্স। পরীক্ষামূলকভাবে কূপের ৩৪৪০ থেকে ৩৪৫৫ মিটার গভীরতায় নতুন গ্যাসের স্তর পাওয়া যায়। এখন দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রবাহ হচ্ছে। গ্যাসের প্রেসার আছে ৩৩৭০ পিএসআই। আর আগামী ৩ মাসের মধ্যে এই কূপ থেকে প্রাপ্ত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’ এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে, যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।