ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘সরকার ও ক্ষমতাসীন দল শুধু বিব্রতবোধ থেকে বিভিন্নভাবে দায়সারা ব্যাখ্যা দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে, তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তেমনি সরকারের জন্যও আত্মঘাতী হবে।

গতকাল টিআইবির এক বিবৃতিতে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক সেনাপ্রধান এবং র‌্যাব ও পুলিশের সাবেক প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও একজন সংসদ সদস্যের হত্যাকান্ড কেন্দ্র করে যেসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডের তথ্য-উপাত্ত প্রকাশিত হচ্ছে, সেদিকে ইঙ্গিত করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, জনগণ ইতোমধ্যে এটুকু উপলব্ধি করার মতো সক্ষম যে, ব্যাপক আলোচিত তিনটি ঘটনাই কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের বহিঃপ্রকাশ, যা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। যথাযথ প্রক্রিয়ায় অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহিতার পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের মতো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর সাবেক প্রধানসহ একজন আইন প্রণেতার এহেন দায়বদ্ধহীন কর্মকান্ড জনমনে সরকার, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও শাসনকাঠামো নিয়ে সংশয় ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। যার বিশ্বাসযোগ্য নিরসন জরুরি। একই সঙ্গে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ আলোচিত কোনো কোনো বিষয়ে যে তৎপরতা দেখাচ্ছে, তা যেন লোকদেখানো আনুষ্ঠানিকতায় পর্যবসিত না হয়।’