বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
ভোটের ফলাফল

এবারও আওয়ামী লীগ, আছেন মন্ত্রী এমপির স্বজনও

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপেও আওয়ামী লীগ নেতাদের জয়জয়কার। গতকাল দেশের ৮৭ উপজেলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বেশির ভাগেই চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জয়ী হয়েছেন। আগের দুই ধাপের মতো এবারও নির্বাচিত হয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরাও। গতকাল রাত ১টায় এ প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যন্ত ৮৭ উপজেলার সবকটির ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৮০, জাতীয় পার্টির ৩, বিএনপির ২, জাসদের ১ এবং অন্য একটি সংগঠনের একজন চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হন।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুসারে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরু, চৌহালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজ উদ্দিন; সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু; ছাতকে রফিকুল ইসলাম কিরণ; রাজশাহীর মোহনপুরে আফজাল হোসেন বকুল, পবায় ফারুক হোসেন ডাবলু; খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বিমলকান্তি চাকমা, লক্ষ্মীছড়িতে সুপার জ্যোতি চাকমা; যশোরের বাঘারপাড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এস এম আশরাফুল কবীর বিপুল ফারাজী, অভয়নগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার অলিয়ার রহমান; বগুড়া সদরে জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, শাজাহানপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছানু, শিবগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান; সিলেটের বিয়ানীবাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম পল্লব, বালাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া, ফেঞ্চুগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশফাকুল ইসলাম সাব্বীর নির্বাচিত হয়েছেন। কক্সবাজারের রামুতে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো, উখিয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহীন আক্তারের ভাই জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, টেকনাফে আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আহমদ; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম এবং আশুগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল করিম খাঁন সাজু; মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আবদুস শহীদের ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, শ্রীমঙ্গলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়; চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জাহেদুল হক, পটিয়ায় চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক দিদারুল আলম, আনোয়ারায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মুজাম্মেল হক, চন্দনাইশ উপজেলায় ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীন আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন। মানিকগঞ্জ সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, সাটুরিয়ায় জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজাহান আলী সাজু; হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, লাখাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুশফিউল আলম আজাদ, সদরে মোতাচ্ছিরুল ইসলাম; শরীয়তপুরের ডামুড্যায় আবদুর রশিদ গোলন্দাজ, গোসাইরহাটে মোশারফ সরদার; ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে আখতারুল ইসলাম; রংপুর সদরে ইকবাল হোসেন, গঙ্গাচড়ায় জেলা বিএনপি নেতা মোকাররম হোসেন সুজন; নীলফামারী সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান; নওগাঁর রাণীনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাহিদ সরদার, আত্রাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবাদুর রহমান প্রামাণিক; ফেনীর সদরে শুসেন চন্দ্র শীল, সোনাগাজীতে জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন ও দাগনভূঞায় দিদারুল কবির রতন; দিনাজপুর সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদ সরকার, চিরিরবন্দরে আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার সাহা, খানসামায় মো. সহিদুজ্জামান শাহ্; কুমিল্লার বুড়িচংয়ে আখলাক হায়দার, ব্রাহ্মণপাড়ায় আবু তৈয়ব অপি, মুরাদনগরে আহসানুল আলম কিশোর, দেবিদ্বারে মামুনুর রশিদ; পাবনা সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, আটঘরিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তানভীর ইসলাম, ঈশ্বরদীতে এমদাদুল হক রানা সরদার; সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম লালটু, সদরে সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান বাবু; টাঙ্গাইল সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান, নাগরপুরে কে এম সালমান শামস্. দেলদুয়ারে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদুল হাসান মারুফ; নাটোরের গুরুদাসপুরে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহম্মদ আলী, বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, জামালপুরের মেলান্দহে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. দিদারুল পাশা, মাদারগঞ্জে রায়হান রহমতুল্লাহ রিমু; মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে কোলাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম মাহাবুব উল্লাহ কিসমত, সিরাজদিখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আওলাদ হোসেন মৃধা; ফরিদপুরের সদরপুরে শহিদুল ইসলাম বাবুল, ভাঙ্গায় কাউসার ভুইয়া; ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ, ত্রিশালে বিএনপির সাবেক এমপির ছেলে আনোয়ার সাদাত, ঈশ্বরগঞ্জে বদরুল আলম; কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মোজাম্মেল হক মাখন, তাড়াইলে জাতীয় পার্টির জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শাহীন, ইটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী কামরুল হাসান, মিঠামইনে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের ফুপু আছিয়া আলম; নরসিংদীর শিবপুরে নরসিংদী-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লার স্ত্রী ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌসী ইসলাম; রাঙামাটির লংগদুতে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল দাশ বাবু, নানিয়ারচরে ইউপিডিএফের অমরজীবন চাকমা; কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এজাহার আলী, নাগেশ্বরীতে জাতীয় পার্টির নেতা এ কে এম মহিবুল হক খন্দকার খোকন, ভুরুঙ্গামারীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী; লালমনিরহাট সদরে কামরুজ্জামান সুজন; নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ ইকবাল, মদনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইফতেখারুল আলম খান চৌধুরী; লক্ষ্মীপুর সদরে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু; গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় পার্টির মোস্তফা মহসিন সরদার টিপু, সাদুল্লাপুরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মো. রেজাউল করিম রেজা; নোয়াখালী সদরে এ কে এম শামসুদ্দিন জেহান, বেগমগঞ্জে শাহেদ শাহরিয়ার, কোম্পানিগঞ্জে গোলাম শরীফ চৌধুরীর পিপুল বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর