শনিবার, ১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মিয়ানমারের কাউকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারের কাউকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আর কোনো রোহিঙ্গা কিংবা মিয়ানমার নাগরিককে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে, বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়েছে রোহিঙ্গারা। তাদের নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, এপিবিএন এবং সেনাবাহিনী কাজ করছে।

গতকাল কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকালে উখিয়ায় ১৯ নম্বর ঘোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন কার্যালয়ে যান। পরে সভা করেন এপিবিএন কর্মকর্তাদের সঙ্গে। ক্যাম্প পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, এপিবিএন প্রধান সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. আমির জাফর, ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. ইকবাল, ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক হাসান বারীসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরে সাংবাদিকদের সামনে বলেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিয়ে আশঙ্কার কিছু কিছু আলামত দেখা যাচ্ছে। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা এসব রোহিঙ্গার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বদেশে ফেরত পাঠানো না গেলে এখানে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। এখানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের হাব তৈরি হতে পারে। এর কিছু কিছু আলামতও দেখা যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যারা যুদ্ধ করছে তাদের কিছু লোকের আনাগোনা এখানে (রোহিঙ্গা ক্যাম্পে) দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় ভয়ের বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশ কোনো মাদক উৎপাদন করে না। কিন্তু মিয়ানমার থেকে মাদক আসছে এখানে। ক্যাম্পের কিছু সংখ্যক লোক এই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র ও খুনের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে এখানে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন সদস্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো জেনেছি। জেনেছি তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো তাদের বলেছি, বাংলাদেশ একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনের মধ্য দিয়ে। এপিবিএন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা দিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার একটি অস্থিতিশীল দেশ। ওখানে যুদ্ধ চলছে। মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা ফেরত নিয়ে চুক্তি বা সমঝোতা স্বাক্ষর হলেও তাদের অসহযোগিতার কারণে অগ্রগতি হয়নি। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পটির এ-৭ ব্লকের পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেকনাফ পৌঁছে বিজিবির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

সর্বশেষ খবর