শনিবার, ১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

জাতিসংঘের নিজস্ব শক্তি বলতে কিছু নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘের নিজস্ব শক্তি বলতে কিছু নেই

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, জাতিসংঘের নিজস্ব শক্তি বলতে কিছু নেই। পাঁচটি মোড়ল রাষ্ট্রের ওপর তারা নির্ভরশীল। ১৫ হাজার শিশুসহ ৩৬ হাজার মানুষকে হত্যার পরও মানবতার ফেরিওয়ালারা ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা রাখেনি। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব। গতকাল রাজধানীর এফডিসি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক ছায়া সংসদের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। 

ড. মোমেন আরও বলেন, ওআইসি ও আরব লিগ একাধিকবার বৈঠকে বসলেও তারা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটে এক হতে পারেনি। ব্রাজিলের মতো নন-মুসলিম দেশ ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করলেও কোনো মুসলিম রাষ্ট্র এ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক না থাকলেও তাদের ও তাদের মিত্রদের অনেক পণ্য আমাদের দেশে বিক্রি হচ্ছে।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমাদের বাদ দিয়ে আরব বিশ্ব এক হলেও ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বাংলাদেশের সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। তবে মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রনায়ক জনতার রায়ে নির্বাচিত নন। তাই আরব বিশ্ব ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমাদের ই-পাসপোর্ট থেকে অ্যাকসেপ্ট ইসরায়েল শব্দটি ডিলিট করা দুঃখজনক। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কেউ আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা না করেই এ পরিবর্তন করেছে। পাসপোর্টকে আরও মানসম্পন্ন করা এবং খরচ কমানোর জন্য জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করেছে বলে আমাকে অভিহিত করা হয়। পরে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়। ‘মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্কে বিজয়ী হয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা। প্রতিপক্ষ ছিল কবি নজরুল সরকারি কলেজের বিতার্কিকরা।

সর্বশেষ খবর