ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, আওয়ামী সরকারের কাজ দেখে হাসি আসে। যেসব সিনিয়র অফিসার তাদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে, তাদের দুর্নীতির খবর সামনে আসার পর সরকার বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে জনগণকে বুঝ দিয়ে রাখছে। অথচ সরকার কি জানে না যারা দুর্নীতিবাজ তারা সব সময়ই দুর্নীতিবাজ। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, অথচ তারাই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি লালন করে।
গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ, স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করার দাবিতে গণমিছিল-পূর্ব জমায়েতে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত জমায়েত শেষে একটি বিশাল গণমিছিল বের করে। এটি বায়তুল মোকাররম থেকে পুরানা পল্টন মোড়, বিজয়নগর, নাইটিঙ্গেল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলের সামনের অংশ যখন দৈনিক বাংলায় পৌঁছে যায়, পেছনের অংশ তখনো বিজয়নগর অতিক্রম করতে পারেনি। ইসলামী আন্দোলনের আমির আরও বলেন, ফিলিস্তিনের মা-বোনদের ওপর অমানুষিক অত্যাচার করা হচ্ছে। অথচ আমেরিকা মুখরোচকভাবে তাদের মানবতার গল্প শোনায়। জালেম ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে তার পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। এ সময় তিনি ইসরায়েলসহ তাদের দোসরদের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান। বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার ঘৃণ্য পাঁয়তারা শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। জমায়েতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি, নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মাওলানা আবদুল হক আজাদ, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।
