রবিবার, ২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

শাহজালালে পরিত্যক্ত ১২ উড়োজাহাজ বাজেয়াপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

শাহজালালে পরিত্যক্ত ১২ উড়োজাহাজ বাজেয়াপ্ত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত ১২টি উড়োজাহাজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরিত্যক্ত এয়ারলাইনসের মধ্যে আটটি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের, দুটি রিজেন্ট এয়ারওয়েজের, একটি জিএমজি এয়ারলাইনসের, একটি অ্যাঞ্জেল এয়ারওয়েজের। এ উড়োজাহাজগুলো দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিমানবন্দরে পড়ে ছিল।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষের অ্যারোড্রামস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন শাখার সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) দফতরের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে জানানো হয়েছে। বেবিচকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত এসব উড়োজাহাজ সরিয়ে নিতে বেবিচক থেকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হলেও সংস্থাগুলো থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তাই এগুলো বাজেয়াপ্ত করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গোর সামনের অ্যাপ্রোন দীর্ঘদিন ধরে ১২টি উড়োজাহাজ ও আনুষঙ্গিক মালামাল অব্যবহৃত, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। উড়োজাহাজগুলো অপসারণ করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উড়োজাহাজগুলো অপসারণ করার বিষয়ে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। ফলে রপ্তানি কার্গো এলাকায় নিয়মিত বা অনিয়মিত ফ্লাইটের পার্কিং, উড়োজাহাজে মালামাল বোঝাই ও যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি পার্কিংয়ের জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণে নতুন বা অনিয়মিত কার্গো ফ্লাইটের অনুমোদন প্রদান, বিমানবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমসহ সার্বিক এভিয়েশন কর্মকান্ড এবং দেশের রপ্তানি উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চারটি এমডি-৮৩, একটি এ-৩১০-৩২৫, একটি এটিআর ৭২-২০২, একটি এটিআর ৭২-১২, একটি ড্যাশ-৮, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি ড্যাশ-৮, অ্যাঞ্জেল এয়ারওয়েজ লিমিটেডের একটি এএন-২, জিএমজি এয়ারওয়েজের একটি এমডি-৮২ মডেলের এয়ারক্রাফট। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো বাজেয়াপ্ত করার পর এখন সেগুলো নিলামে বিক্রির প্রস্তুতি চলছে। নিলামে বিক্রির গ্রাহক না পেলে এগুলো কেজি দরে বিক্রি করা হতে পারে।

সর্বশেষ খবর