রবিবার, ২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
ড. মঈনুল ইসলাম

মেগা প্রজেক্টের হিড়িকে সংকটে অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থনীতিবিদ ড. মঈনুল ইসলাম বলেছেন, খামখেয়ালিপনার কারণে দেশের অর্থনীতি বিপদের সম্মুখীন। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনীতি বিপদে পড়ার আরেকটি বড় কারণ একের পর এক মেগা প্রজেক্টের হিড়িক। এ রকম স্বল্পপ্রয়োজনীয় প্রকল্প যদি গৃহীত হতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশ খুব শিগগিরই শ্রীলঙ্কার মতো ঋণের ফাঁদে পড়ে যাবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা : সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। সভায় ‘শাসককুলের ভুল ও খামখেয়ালিপনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিপদের সম্মুখীন’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মঈনুল ইসলাম। এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ খাতে যে বরাদ্দ রাখা ছিল, তা থেকে এ বছর আরও ১ বিলিয়ন ডলার বেশি খরচ হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাত কমতে কমতে ৮ শতাংশের কাছাকাছি এসে গেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান মারাত্মক রাজনৈতিক সংকট অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সভাপতির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, এখন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত পার্টির বড় পদের লোকেরা। সরকারি দলের নেতারাও বলছেন, সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু সিন্ডিকেটে কারা আছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে না। সিন্ডিকেটের বেশির ভাগই সরকারঘনিষ্ঠরা। সামরিক-বেসামরিক আমলা ও ধনিক গোষ্ঠীর ক্ষুদ্র অংশ এ অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের মধ্যেই সম্পদ কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে। অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ এ ধনিক গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। গোষ্ঠীতান্ত্রিক অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতা নয়, সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করছে। রাষ্ট্রক্ষমতা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখান থেকে সমাজ অনেক দূরে সরে গেছে।

 বেনজীর ও আজিজ দুজনের চরম আগ্রাসন দেখলাম। এখন দুদক কী করে সেটাই দেখার বিষয়। তিনি আরও বলেন, ডলার সংকটের মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। বাড়তি কর জনগণকে দিতে হচ্ছে। মানুষের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। বাজারে গেলেই টের পাওয়া যাচ্ছে অর্থনীতি কেমন আছে। এজন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা আছে। এর মধ্যে আবার পানির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দামও বেড়েছে। সভায় আরও বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও পলিটব্যুরো সদস্য সুশান্ত দাস।

সর্বশেষ খবর