সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুঃখ প্রকাশ প্রতিমন্ত্রীর, তিন জনের প্রার্থিতা বাতিল

উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে ব্যাখ্যা দিতে হাজির হন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করায় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সাইদুজ্জামান মামুন (ঘোড়া), ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রওশন মৃধা (চশমা) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফেরদৌসী পারভীনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তলবের পর প্রার্থীদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৫ জুন চতুর্থ ধাপে এ উপজেলায় ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীকে। বিকালে নির্বাচন ভবনে তিন প্রার্থীর বক্তব্য শুনানির পর কমিশন এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা তুলে ধরার পর আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, প্রতিমন্ত্রীর বিপক্ষে একটি শোকজ নোটিশ ছিল। যার জবাব দেওয়ার জন্য আমি আইনজীবী হিসেবে এখানে এসেছি। মূলত একটি ভিডিও এখানে দেখানো হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি (প্রতিমন্ত্রী) তিনজনের জন্য ভোট চেয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভোট চাওয়ার বিষয়টি দুবার বলা হয়েছে। এর মানে এটি সুপার এডিট হতে পারে। আর এ বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, নির্বাচনের ‘ইমেজ’ ঠিক রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন যে কাজ করছে এর জন্য প্রতিমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, কোনো কারণে যদি আমার জানার বাইরে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এ সময় প্রতিমন্ত্রী হাসছিলেন। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, উনি আসলে অতি শোকে পাথর হয়ে গেছেন। উনার মতো একজন ভদ্রলোকের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ। আর কথা বইলেন না। এর আগে গত ৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রতিমন্ত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট এবং চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ এর লঙ্ঘন। সেজন্য আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন দোষী সাব্যস্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে রবিবার নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়।

সর্বশেষ খবর