সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের রাজকীয় অভিষেক

আসিফ ইকবাল

যুক্তরাষ্ট্রের রাজকীয় অভিষেক

কানাডার বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পর মার্কিন শিবিরে উল্লাস -এএফপি

ক্রিকেট ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বাংলাদেশ থেকে যোজন যোজন এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। এগিয়ে উপমহাদেশের দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা থেকেও। ১৮০ বছর আগে দেশটি প্রতিবেশী কানাডার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল। এরপর ক্রিকেট থেকে হঠাৎ উধাও দেশ দুটি। খোঁজ নেই। খবর নেই। হঠাৎ খোঁজ লাগাল ক্রিকেটের শাসক সংস্থা আইসিসি। আইসিসির আন্তরিকতায় পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ দুটিতে ফের অল্প অল্প করে বিস্তার লাভ করেছে ক্রিকেট। অভিবাসীদের নিয়ে খেলছে ক্রিকেট। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এবার তো যুক্তরাষ্ট্র টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২৪-এর সহআয়োজক। গতকাল সকালে দেশটির নবম বৃহত্তম শহর ডালাসে প্রতিবেশী ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কানাডার বিপক্ষে ২০ ওভারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে অংশ নেয়। দুই দল এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে। প্রথম আসরকেই স্মরণীয় করে রাখে যুক্তরাষ্ট্র। অ্যারন জোন্সের রেকর্ড গড়া অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটের জয়ে রাজকীয় অভিষেক হয় দেশটির। কানাডার ছুড়ে দেওয়া ১৯৫ রানের টার্গেট তাড়া করে যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচ জিতেছে ১৪ বল হাতে রেখে। টি-২০ বিশ্বকাপের ৯ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের একমাত্র রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০৬ রান প্রোটিয়ারা টপকে ছিল ১৪ বল হাতে রেখে। সেবার ওপেনার হার্শেল গিবস খেলেছিলেন ৯০ রানের ইনিংস। ম্যাচসেরা জোন্স এবার করেছেন ৪০ বলে ৪ চার ও ১০ ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রান। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ম্যাচ ৬ জুন, পাকিস্তান ডালাসে। কানাডার পরের ম্যাচ ৭ জুন, আয়ারল্যান্ড নিউইয়র্কে। টেক্সাসের রাজধানী ডালাসে গতকাল টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান তোলে কানাডা। দলটি ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ৫০ রান করে। ১০ ওভারে করে ৮৫ রান। শেষ ১০ ওভারে ১০৯ রান করে। দলটির পক্ষে ওপেনার নাভনিত ধালিওয়াল ৬১ রান করেন ৪৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায়। নিকোলাস কিরটান ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রান করেন। ১৯৫ রানের টার্গেট। ওভারপ্রতি সাড়ে ৯ রান! পাহাড় টপকানোর মতো। সেই কাজটি করতে নেমে স্বাগতিক ওপেনার স্টিভেন টেইলর ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল ও আন্দ্রেস গুজ দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩১ বলে ৪২ রান যোগ করেন। যুক্তরাষ্ট্র আকাশ ছোঁয়ার পথে ৬ ওভারে ৪১ রান করেন। দলটি প্রথম ১০০ রান করেন ৬৯ বলে। জিততে পরের ৫১ বলে দলটির দরকার ছিল ৯৫ রান। গুজ ও জোন্স তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৫ বলে ১৩১ রান যোগ করেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে টি-২০ ক্রিকেটে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। সর্বোচ্চ ১৫২ রানের জুটি অ্যালেক্স হেলস ও ইউয়ান মরগানের। রান তাড়া করে টি-২০ ক্রিকেটে জয়ের রেকর্ড তৃতীয়। রান তাড়া করে সর্বোচ্চ ৮ উইকেটে ২৩০ রান, ইংল্যান্ডের ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ব্যক্তিগতভাবে জোন্স কয়েকটি রেকর্ড করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ২২ বলে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। টি-২০ বিশ্বকাপের এক ইনিংসে ১০টি ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন। তার চেয়ে বেশি ১১টি ছক্কা মেরেছেন এক ইনিংসে ক্রিস গেইল। জোন্স ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মাত্র ৪০ বলে ৪ চার ও ১০ ছক্কায়। গুজ ৬৫ রান করেন ৪৬ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায়।

সর্বশেষ খবর