আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ আওয়ামী লীগের কেউ নন। তাদের দুর্নীতির বিচার করার সৎ সাহস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আছে। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন নগর নেতৃবৃন্দ। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজীর এবং আজিজ তারা নিজ যোগ্যতায় নিজ নিজ বাহিনীর প্রধান হয়েছিলেন। তাদের অপকর্ম সামনে এলে বিচার করার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাউকে পুলিশ, সেনা, র্যাব বা প্রশাসনের বড় পদে বসায়নি। আটজনকে পাশ কাটিয়ে ৯ নম্বর ব্যক্তি মইন উদ্দিনকে কে সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন? বেগম খালেদা জিয়া। সাবেক আইজিপি শামসুল হুদা, এসপি কহিনুর কার সৃষ্টি? মির্জা ফখরুল ভুলে গেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান অস্ত্র মামলায় ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত, অর্থ পাচার মামলায় আজকে পলাতক আসামি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। শেখ হাসিনা দেশে-বিদেশে একজন সৎ রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতায় সাজা স্থগিত করে বাসায় বসে চিকিৎসা নিতে পারছেন খালেদা জিয়া। আজকে সেই বিএনপি দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কথা বলে। আমাদের দলের নেতৃত্বে কোনো দুর্নীতি থাকলে তথ্যপ্রমাণ নিয়ে আসেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, টিআইবি আর সুজন বিএনপির- ‘বি টিম’। ফখরুল ইসলাম-গয়েশ্বর রায় যে সুরে কথা বলেন, তারাও সেই সুরে কথা বলে। কোনো পার্থক্য নেই। ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের শৃঙ্খলা মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কষ্টে থাকলে জানাবেন, অপকর্ম করবেন না। আমাদের নিজের দুর্বলতার খবর শত্রু জানলে নিজেদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।
