শিরোনাম
বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
সুজন সম্পাদক

নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন হলো নাই এর নির্বাচন। ভোটার নাই, বিরোধী দল নাই এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাও নাই। নির্বাচন যে নির্বাসনে চলে গেছে এটা তারই প্রতিফলন। এর মূল কারণ হলো আস্থাহীনতা। অতীতের নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতার ফলে মানুষ নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। গতকাল ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তথ্যের বিশ্লেষণ উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সুজনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ড. হামিদা হোসেনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সুজন কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ প্রমুখ। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা ভোটপাগল জাতি। কিন্তু এখন ভোটের খড়ায় ভুগছি। আমরা ভোটপাগল থেকে ভোটখড়ার জাতিতে পরিণত হয়েছি। নির্বাচন নির্বাসনে চলে গেছে।

এবার ৫ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। সর্বমোট ৪৫৯টি উপজেলার ১ হাজার ৮৭৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে সুজন প্রার্থীদের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেছে। সুজনের প্রধান কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার এ উপস্থাপনা তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে সুজন জানিয়েছে, অন্যান্য নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার দৌড়েও ব্যবসায়ীরা এগিয়ে রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৮ শতাংশ ব্যবসায়ী। সম্পদের দিক থেকে প্রার্থীদের ৩২ শতাংশের বেশি কোটিপতি। যা প্রার্থীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। তবে ৪৪ শতাংশের বেশি প্রার্থী বছরে ৫ লাখ টাকার কম আয় করেন। এবারের নির্বাচনে ঋণগ্রহীতা প্রার্থী ২৮ শতাংশ। আয়কর দেওয়া প্রার্থীদের সংখ্যাও এবার বেশি। আয়কর প্রদানকারীদের মধ্যে লাখ টাকার বেশি আয়কর দেন ২৮ শতাংশের বেশি প্রার্থী। নির্বাচনে উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা বাড়লেও মাধ্যমিকের গন্ডি অতিক্রম না করা প্রার্থীও রয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষিতের হার ৫৬ শতাংশের বেশি। মাধ্যমিকের গন্ডি অতিক্রম না করা প্রার্থী প্রায় ১৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও শীর্ষ ১০ সম্পদশালী চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে সুজন। তারা হলেন- নরসিংদীর শিবপুরের ফেরদৌসী ইসলাম, নোয়াখালীর সেনবাগের এস এম জাহাঙ্গীর আলম, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মো. মিরাজুল ইসলাম, কুমিল্লার হোমনার রেহানা বেগম, ঢাকার ধামরাইয়ের সুধীর চৌধুরী, হবিগঞ্জের মাধবপুরের এস এফ এ এম শাহজাহান, নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী, ফেনীর ছাগলনাইয়ার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মজুমদার, শরীয়তপুরের জাজিরার মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী ও ময়মনসিংহের ভালুকার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তাঁরা সবাই কোটিপতি।

সর্বশেষ খবর