শিরোনাম
বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনে বায়রা

মালয়েশিয়া যেতে না পারলে কর্মীদের টাকা ফেরত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেছেন, যেসব কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি তারা যেতে না পারেন তবে তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যারা যেতে পারেননি তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য বায়রার পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। কর্মীরা কোন এজেন্সির মাধ্যমে কত টাকা দিয়েছেন তা বায়রা অফিসে এসে তথ্য দেবেন। তারা যত টাকা দিয়েছেন তত টাকাই ফেরত পাবেন।

‘আটকে থাকা মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের সমস্যার সমাধান, বাস্তবতার আলোকে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের পদক্ষেপ’ সম্পর্কে জানাতে গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে বায়রা। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজীর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, বায়রা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ ও বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন। প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বায়রার সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, যেসব কর্মী সময়মতো ই-ভিসা ও বিএমইটির ছাড়পত্র পেয়েছেন তাদের প্রায় সবাই ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়া গেছেন। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে যেসব কর্মী ই-ভিসা এবং বিএমইটির ছাড়পত্র পেয়েছেন তারা বিমান টিকিট স্বল্পতার কারণে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। এদের সংখ্যা ৫ থেকে ৬ হাজারের বেশি হবে না। এ ছাড়া ২৭ ও ২৮ মে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। সুতরাং মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের নিয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি। কিন্তু মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণকারী রিক্রুটিং এজেন্সির কিছু সদস্য তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। নিয়োগকারী ৪৭টির মতো কোম্পানি কালো তালিকাভুক্ত হওয়া, এসব কোম্পানিতে পুনরায় কর্মী না পাঠানো, কিছু নিয়োগকারী কোম্পানি কোটাপ্রাপ্ত সব কর্মীকে না নেওয়া, কিছু কর্মী সব প্রক্রিয়া শেষ করেও মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক না হওয়ার কারণে বিএমইটি ছাড়প্রাপ্ত সব কর্মী মালয়েশিয়া যাননি। বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন বক্তব্যে বলেন, ৩১ মের মধ্যে যেসব কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি তাদের জন্য সময় বাড়িয়ে ফের পাঠানো যায় কি না তা নিয়ে মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কর্মীরা যদি মালয়েশিয়া যেতে না পারেন তবে তাদের সব অভিবাসন খরচ ফেরত দেওয়া হবে। বায়রা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, মালয়েশিয়া যাওয়ার সর্বশেষ তারিখ নির্ধারিত ছিল ৩১ মে। কিন্তু ৩১ তারিখের পর অনেক কর্মীকে ই-ভিসা দেওয়া হয়েছে। এটা খুবই হাস্যকর। সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, যেসব কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি তাদের কীভাবে পাঠানো যায় তা নিয়ে আমাদের দেশের সরকার ও মালয়েশিয়া হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পাঠানোর চেষ্টা করব। একজন কর্মী যত টাকাই দিক সে যেতে না পারলে সে টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করব আমরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজীর আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এ নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হলে জনশক্তি ‘রিসিভিং’ দেশগুলোতে খারাপ বার্তা যায়। এ দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করলে আমাদের কর্মীরা বিপদে পড়বেন।

সর্বশেষ খবর