চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। যা বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। একই সময় পর্যন্ত মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা। যা আগের তিন মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। মার্চ শেষে যে পরিমাণ খেলাপি ঋণ বেড়েছে এর মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ২২১ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৬৫ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে সরকারি ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ৯৯ শতাংশ খেলাপি ছিল, যা মার্চে বেড়ে হয়েছে ২৭ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে মার্চে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকে ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৭০ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ডিসেম্বরে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যা মার্চে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপি ঋণ গত ডিসেম্বর শেষে ছিল ৫ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। যা মার্চে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলোতেও খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ডিসেম্বরে বিদেশি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ ছিল ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। পাশাপাশি খেলাপি হওয়া সুদ যুক্ত হওয়ার কারণেও খেলাপি ঋণ বেড়েছে। খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংকগুলোতে তদারকি বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়ক কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
