শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম

অপ্রদর্শিত আয় দেশে রাখতে বাজেটে কালো টাকা সাদার সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অপ্রদর্শিত আয় দেশে রাখতে বাজেটে কালো টাকা সাদার সুযোগ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহা. রাহমাতুল মুনিম বলেছেন, অপ্রদর্শিত আয়ের অর্থ (কালো টাকা) দেশে বিনিয়োগ হয় না। এটা বিদেশে চলে যায়। কালো টাকা যারা তৈরি করেন তারা এটা বাইরে নিয়ে ভোগবিলাস করেন। এ অপ্রদর্শিত আয় দেশে রাখার জন্য বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ‘পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ১৫ শতাংশ কর দিলে তার সব অবৈধ টাকা বৈধ হয়ে যাবে কি না’-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ টাকা কেসে (মামলায়) পড়ে গেছে, এটা কীভাবে সাদা হবে! এখন ফৌজদারি মামলা চলছে। এটা তো আইনের ব্যাপার।’ এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, জমি কেনাবেচার ফলে ‘অজ্ঞাতে’ কিছু টাকা কালো হয়ে যায়। এ রকম আরও একটি বিষয় রয়েছে, সেটা আপনারা স্বীকার করবেন যে, জমি কেনাবেচায় আমাদের কিছু টাকা আমাদের অজ্ঞাতেই কালো বা অপ্রদর্শিত হওয়ার সুযোগ হয়ে যায়। এ ধরনের কিছু অনিবার্য কারণে রিটার্নে যেসব সম্পদ দেখাতে পারেননি, সে সম্পদ দেখানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য অনেক দেশেই এ প্র্যাকটিসটি আছে। কমপ্লায়েন্স ও টাকা পাচার রোধের বিবেচনা থেকেও কালো টাকা বৈধ করার পক্ষে যুক্তি দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘কমপ্লায়েন্সের বিষয়টি আমরা যখন এনশিওর করতে যাচ্ছি, তখন দেখা যাচ্ছে কিছু অপ্রদর্শিত জিনিস রয়ে গেছে, যেগুলো ব্যবসায়ীরা দেখাতে চান, ব্যক্তি পর্যায়ে দেখাতে চান। নতুন করদাতা যারা, তারা করের আওতায় আসতে চান এবং এগুলো দেখাতে চান। সেজন্য আমরা এ ধরনের একটি সুযোগ করে দিয়েছি।’ দেশে কী পরিমাণ কালো টাকা রয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনবিআর তো কালো টাকার হিসাব করে না। এটা অন্য কোনো সংস্থা করে কি না জানা নেই। আরও একটি বিষয় হলো, কালো টাকা যারা তৈরি করেন, আমরা কথায় কথায় বলি, কালো টাকাকে যারা প্রশ্রয় দেন, তারা অর্থনীতিতে এ কালো টাকা ব্যবহারের জন্য করেন না। কালো টাকা মূলত দেশের বাইরেই বেশি চলে যায় এবং বিভিন্ন ভোগবিলাসের কাজেই ব্যয় হয়ে যায়। সে জায়গা থেকেই রিটার্নে বিষয়টি রাখার জন্য সুযোগটা রেখেছি। বেনজীর আহমেদের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘সাবেক কর্মকর্তা নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেছেন, উনার বিচার হবে না এটা কেউ বলেননি। দুদক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ না করে তাকে জেলে বা ফাঁসি দেব, বিষয়টি এমন নয়, কারণ উনি তো এ দেশের মানুষ। বেনজীর বিদেশে আছেন, দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন।

সর্বশেষ খবর