রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

গাজার শিশুরা শ্রমিকের কাজে

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

গাজার শিশুরা পরিবারের জীবিতদের রক্ষায় এখন বাধ্য হয়ে শ্রমিকের কাজ করছে। আট মাস আগে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে গাজায় হতাহতের ঘটনা এবং কাজের কোনো পরিবেশ না থাকায় কর্মজীবীদের ৮০% বেকার হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর মহাপরিচালক গিলবার্ট হোঙ্গবো। জেনেভায় অনুষ্ঠানরত ‘১১২তম আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে’ গিলবার্ট বলেছেন, গাজার শ্রমবাজার বলতে গেলে ধ্বংস হয়ে গেছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস বাহিনী ইসরায়েলিদের কনসার্টে ভয়ংকর আক্রমণের পর ইসরায়েলের প্রতিশোধপরায়ণতা অব্যাহত থাকায় গাজা উপত্যকা ধ্বংস হয়ে পড়েছে। ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। ইসরায়েলি বোমা হামলা থেকে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রক্ষা পাচ্ছে না। গিলবার্ট বলেন, বর্তমানে গাজা মৃত্যুপুরীতে পরিণত। কাজ করা দূরের কথা, নিরাপদে বসবাসেরই উপায় নেই। তিনি বলেন, গাজায় শ্রমিকের অধিকার বলতে কিছুই নেই। ১৯৬৭ সালের পর এমন করুণ পরিস্থিতি কখনো হয়নি গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের।  আইএলও এবং প্যালেস্টাইন সেন্ট্রাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্সের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় এখন কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের হার ৭৯.১%। এরা সবাই যে ইসরায়েল-হামাস বাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধের শিকার তা নয়, এর মধ্যে অবরুদ্ধ পশ্চিমতীরও পরিস্থিতির শিকার। পশ্চিমতীরের প্রতি তিনজনের একজনই এখন বেকার। গাজা এবং পশ্চিমতীরের কর্মজীবী মানুষের অধিকাংশই এখন বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত। ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের পরিবার নিদারুণ দুর্ভিক্ষে নিপতিত হয়ে পড়ায় শিশুদের খাবার সংগ্রহের জন্য তাঁবুর বাইরে পাঠানো হচ্ছে। নারী এবং শিশুরাও ইসরায়েলি হামলায় হতাহত হলেও অভাবের তাড়নায় বেঁচে থাকা অসহায় নারীরা জীবনের ঝুঁকির মধ্যেই শিশুদের কাজে পাঠাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর