সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

২২ সেকেন্ডে ৩৮ গুলি ছুড়েছেন কাওছার

♦ তর্কাতর্কির উত্তেজনায় গুলি বলছে পুলিশ ♦ পরিবার বলছে মানসিক রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ সেকেন্ডে ৩৮ গুলি ছুড়েছেন কাওছার

ব্রাজিলে তৈরি অত্যাধুনিক সাব মেশিনগান ‘এসএমটি-৯’ এর পুরো ম্যাগাজিনের ৩০ রাউন্ড গুলি এক ট্রিগারেই খালি করেছিলেন কনস্টেবল কাওছার আলী। খালি ম্যাগাজিন পাল্টে লোড করেন গুলি ভর্তি আরও একটি নতুন ম্যাগাজিন। তা থেকেও আরও আট রাউন্ড গুলি করেন এলোপাতাড়ি। মাত্র ২২ সেকেন্ডের মধ্যেই ৩৮ রাউন্ড গুলি করে সব শেষ করেন কাওছার। সব ধরনের নৃশংসতাও যেন হার মানে তার কাছে। কারণ মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও সহকর্মী কনস্টেবল মনিরুল হকের দেহে গুলি চালিয়েছেন। তার এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে আহত হয়ে হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পার্ক রোডের পথচারী জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন। পুলিশ কনস্টেবল কাওসার আলীর এমন নৃসংশতায় হতবাক পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ঘটনার পর রাতেই তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি এ সময় বলেন, কী কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে, তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নেপথ্য কী এমন ঘটনা ঘটেছিল, যাতে নিজের সহকর্মীকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করলেন কাওছার আলী। এমন আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তারা। ডিএমপি জানিয়েছে, তর্কাতর্কির একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে কনস্টেবল কাওছার তার সহকর্মী মনিরুলকে গুলি করেন। অন্যদিকে, নৃশংস এই ঘটনায় গ্রেফতার কনস্টেবল কাওছারের পরিবারের সদস্যদের দাবি চাকরিরত অবস্থায়ই প্রায় ১৪ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত তিনি। সরকারিভাবেও অন্তত তিনবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে গিয়ে মানসিক রোগের চিকিৎসাও নিয়েছেন।

গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সরেজমিনে ঘটনাস্থল বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে গিয়ে দেখা যায়, এখনো শুকায়নি রক্তের দাগ। তখনো ভিজে ছিল পার্ক রোড লাগোয়া ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনের বিটুমিনের সড়কের সেই অংশটি। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থার অনেকেই এসে ওই জায়গাটুকুর ছবি তুলছিলেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশের কারণে দূতাবাস এলাকায় দায়িত্বরত কোনো পুলিশ সদস্যই এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। একই সঙ্গে ওই এলাকায় বসবাসরত কাউকেই তারা গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দিচ্ছিলেন না। তবুও কিছুদূর সামনে এগিয়ে গিয়ে বারিধারা ডিওএইচএস এলাকার এক বাসিন্দা এই প্রতিবেদককে বলছিলেন, পুলিশের যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা উচিত। কারণ পুলিশের কর্তব্য অবহেলার এই ঘটনার দায় নিতে হবে সরকারকে। রীতিমতো বিব্রতকর অবস্থায় পড়বেন আমাদের কূটনীতিকরা।

তর্কাতর্কি থেকে কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি : রাজধানীর বারিধারায় ডিপ্লোম্যাটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ডিউটিরত কনস্টেবল মো. মনিরুল হকের সঙ্গে কনস্টেবল মো. কাওছার আলীর তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে কনস্টেবল কাওছার সহকর্মী মনিরুলকে গুলি করেন। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দফতরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ডিপ্লোম্যাটিক জোনে পুলিশ সদস্যের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, কোনো বিষয় নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুলের সঙ্গে আরেক কনস্টেবল কাওছারের তর্কাতর্কি হয়েছে। তার ফলশ্রুতিতেই একপর্যায়ে গুলির ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবলকে পুরোপুরি জিজ্ঞাসাবাদের পরে বিস্তারিত বলতে পারব। আর সাময়িক উত্তেজনার কারণেই হয়তো অনাকাক্সিক্ষত এই ঘটনা ঘটেছে। এর বাইরে আর খুব বেশি কিছু না। তার কারণ কনস্টেবল কাওছার স্বাভাবিকভাবেই ডিউটি করছিলেন এবং ডিউটির যে স্ট্যান্ডার্ড সেটিও সে যথাযথভাবে পালন করতেন। কাজেই এটা তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘটতে পারে। যেটি আমাদের কাছে মনে হয়েছে, যদিও সুনিশ্চিত করে বলতে আরও তদন্ত করে দেখতে হবে।

দুই কনস্টেবলের মধ্যে আগে থেকে কোনো বিরোধ ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা মহিদ বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে বিরোধের কোনো বিষয় পাইনি। তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল এমন কোনো তথ্যও আমাদের কাছে নেই। আমরা অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওছারের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু সে ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কনস্টেবল কাওছারের গত এক-দুই মাসের ডিউটির রেকর্ড দেখেছি। যেখানে দেখা গেছে তিনি যথাযথভাবে ডিউটি করেছেন। এখন কী বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়েছিল সে বিষয়ে আমরা এখনো পরিষ্কার না। তদন্ত করে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওছার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গুলি করেই তিনি হতভম্ব। এ কারণে বারবার বলছিলেন- এটা কীভাবে হয়ে গেল। আমি জানি না। অর্থাৎ এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর পর মানসিকভাবে নার্ভাস থাকে। যে কারণে ঘটনার পরও অস্ত্র রেখে কনস্টেবল কাওছার সেখানে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। কারণ, তিনি স্ট্রেসটা নিতে পারছিলেন না। ঘটনার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন- হয়তো কত বড় অন্যায় ও অমানবিক কাজ করে ফেলেছে। হয়তো এক-দুই দিন গেলে বোঝা যাবে, গুলি করার কারণ।

সামগ্রিকভাবে পুলিশ সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাউন্সেলিংয়ের সিস্টেম নেই। তবে নিয়মিত ব্রিফিংগুলোতে কী করা যাবে, কী করা যাবে না; সে সম্পর্কে বলা হয়। এটাও এক ধরনের কাউন্সেলিং।

রিমান্ডে কনস্টেবল কাওছার : পুলিশ কনস্টেবল মো. মনিরুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার কনস্টেবল মো. কাওছার আলীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মো. আবদুল মান্নাফ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তবে এ দিন আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী ছিল না।

৩৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন কনস্টেবল কাওছার : শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গুলশান-বারিধারার ডিপ্লোম্যাটিক এলাকায় ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে দায়িত্বরত কনস্টেবল কাওছারের ছোড়া গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল। কাওছারের হাতে যে এসএমটি-৯ সাবমেশিনগান ছিল, সেটি ব্রাজিল থেকে আমদানি করা। এই বন্দুক থেকে ৩৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন কাওছার। এই বন্দুকের একটি ম্যাগাজিনে ৩০ রাউন্ড করে গুলি থাকে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাওছার একটি ম্যাগাজিনের ৩০ রাউন্ড গুলি শেষ করে আরেকটি ম্যাগাজিন বন্দুকে ভর্তি করেন। সেখান থেকেও ৮টি গুলি ছোড়েন। ম্যাগাজিনে থাকা বাকি ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দুজন ফিলিস্তিন দূতাবাসের বাইরে অবস্থিত পুলিশ বক্সে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিপ্লোম্যাটিক জোনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের হাতে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এসএমটি-৯ সাবমেশিনগান দেওয়া হয়। এ অস্ত্র দিয়ে মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি করা যায়। কাওছার এই অস্ত্র দিয়ে উন্মাদের মতো ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন। আর নিহত মনিরুলের কাছে ছিল ৭.৬২ চায়না রাইফেল ছিল। এতে একটি ম্যাগাজিনে ২০ রাউন্ড গুলি ভর্তি ছিল। সেটি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। কাওছারের গুলিতে জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন আহত হয়েছেন। তিন রাউন্ড গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত সাজ্জাদ পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি এই সড়ক দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন।

মানসিক রোগী কনস্টেবল কাওছার!

কনস্টেবল কাওছার আলীর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী দাড়ের পাড়া এলাকায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয়রা।

গতকাল দুপুরে তার গ্রামের বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা এই বিষয়টি অবহিত করেন এই প্রতিবেদককে।

কাওছারের মা মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে এমনিতে খুব ভালো। তবে তার মাথার সমস্যা আছে। সে চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই অসুস্থ। তার সঙ্গে আমার শনিবার রাত ৮টায় শেষ কথা হয়। আমার সঙ্গে ভালোভাবেই কথা বলেছে। মা কেমন আছ, আব্বা কেমন আছে জিজ্ঞেস করে। তবে কয়েকদিন ধরে বাড়িতে একটু কম কথা বলত আমার ছেলে।’

কাওসারের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথির দাবি, তার স্বামী মানসিক রোগে আক্রান্ত। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তাকে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র আমার স্বামীর কাছে আছে। মাদকের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। গত চার-পাঁচ দিন ধরে তিনি পরিবারের সঙ্গে কম কথা বলছিলেন।

 

মামলার এজাহারে যা রয়েছে : গুলশান থানার মামলা নম্বর-২। বাদী নিহত মনিরুল ইসলামের ভাই মাহাবুবুল হক। মামলার এজাহারে ৩০২/৩০৭/৩২৬ ধারা উল্লেখসহ ‘এসএমটি-৯’ অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে মৃত্যু ঘটানো ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ গুলির ঘটনার পর একটি এসএমটি-৯ অস্ত্র, ২টি ম্যাগাজিন, ২২ রাউন্ড গুলি, ৩৪টি গুলির খোসা, একটি চায়নিজ রাইফেল ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। নিহত মনিরুল ইসলামের ভাই ও মামলার বাদী মাহাবুবুর হক মহাখালী বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাওসারের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে।

 আর নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায়। মামলার এজাহারে হত্যাকান্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, আমার ছোট ভাই কনস্টেবল মনিরুল হক (২৭) গুলশান ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাতে পুলিশ কনস্টেবল কাওছার আলীর সঙ্গে মনিরুল গুলশান বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সে সশস্ত্র অবস্থায় ডিউটিতে ছিল। রাত অনুমান ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে কনস্টেবল কাওছার আলীর সঙ্গে ডিউটি নিয়ে আমার ভাইয়ের বাকবিতন্ডা হয়। এরই একপর্যায়ে আসামি উত্তেজিত হয়ে আমার ছোট ভাইকে উদ্দেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। তার গুলির আঘাতে আমার ভাই ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সের সামনে উপুড় হয়ে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। কাওছারের এলোপাতাড়ি গুলিতে পথচারী জাপান অ্যাম্বাসিতে কর্মরত গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনও গুলিবিদ্ধ হন। তিনি গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের গ্রাম নেত্রকোনার আটপাড়ায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ।

নিহত মনিরুল আটপাড়া উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুউদ্দিন মাস্টারের তিন ছেলের মাঝে ছোট ছেলে।

স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের দিকে পুলিশের কনস্টেবলে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন। দুই বছর পূর্বে বিয়ে করেন তিনি। এক বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে মনিরুলের।

স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমান জানান, সকালে খবর পাওয়া মাত্র তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন বাড়ির লোকজন ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তিনি ঢাকায় কথা বলেছেন সেখানের পুলিশের সহযোগিতায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ বাড়িতে পাঠানো হবে।

আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জল কান্তি সরকার জানান, বিষয়টি শুনেছি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় লাশ নিহতের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।

সর্বশেষ খবর