সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

পৃথিবীর কোথাও এত নিবন্ধন ব্যয় নেই : রিহ্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিয়েল এস্টেট খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছেন আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে করপোরেট ট্যাক্সসহ রেজিস্ট্রেশন ব্যয় প্রায় ৩০ শতাংশ হবে। এত নিবন্ধন ব্যয় দক্ষিণ এশিয়াসহ  পৃথিবীর কোথাও নেই। অতিমাত্রায় নিবন্ধন ফির কারণে মানুষ জমি কিনতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। তাই জমি এবং ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ব্যয় ৭ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ আবাসন ব্যবসায়ীদের আয়কর কমানোর দাবি জানান তিনি। গতকাল জাতীয় বাজেট সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাব সভাপতি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের প্রথম সহসভাপতি লায়ন এম এ আউয়াল, সহসভাপতি মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, আবদুর রাজ্জাক, হাজী দেলোয়ার হোসেন এবং রিহ্যাব পরিচালক ও প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে ৫ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি। এর মধ্যে রয়েছে- জমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ব্যয় কমানো। রিয়েল এস্টেট সেক্টরের বর্তমান অবস্থা ও বিশ্বের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আবাসন ব্যবসায়ীদের আয়কর কমানো। সেকেন্ডারি মার্কেটের প্রচলন করা। মধ্যবিত্তদের ফ্ল্যাট ক্রয়ে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ক্রেতাসাধারণকে হোম লোনের ব্যবস্থা করা। নির্মাণসামগ্রীর দাম কমানো জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। রিহ্যাব সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী। এর ফলে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে একবার কালো টাকা সাদা হলে সেই টাকা পরের বছর ৩০ শতাংশ করের আওতায় চলে আসবে। পাশাপাশি আবাসন খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। তিনি আরও বলেন, যেসব নাগরিকের সামর্থ্য কম তারা ঝোঁকেন পুরনো ফ্ল্যাটের দিকে। কিন্তু এই পুরনো ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় নতুন ফ্ল্যাটের সমান। তাই ইচ্ছে থাকলেও অনেকে ফ্ল্যাট কিনতে পারেন না। ফলে পুরনো ফ্ল্যাট বিক্রির সেকেন্ডারি মার্কেট গতিশীল হচ্ছে না। রিয়েল এস্টেট খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি পরিবর্তন করে সেকেন্ডারি মার্কেটে পাঁচ বছরের পুরনো ফ্ল্যাট ৪ শতাংশ হারে রেজিস্ট্রেশন ব্যয় সংক্রান্ত নিয়ম চালু করা হলে মধ্যবিত্তরা ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন।

আইসিটি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৫ বছর করার দাবি বেসিসের : এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ আইসিটি খাতের বিকাশে নতুন বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতি পাঁচ বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে আইসিটি খাতে তিন বছরের কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।

গতকাল রাজধানীতে বেসিসের নিজস্ব অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বাজেট প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।

সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা (আইটিইএস) খাতের অন্তর্ভুক্তি করা হয়নি। এ ছাড়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ইউনিট (ওএনইউ) ও অপটিক্যাল লাইন টার্মিনালের (ওএলটি) ওপর ৩৭ শতাংশ ভ্যাট ও শুল্কারোপ করা হয়েছে। এতে দেশে ইন্টারনেট সেবার প্রসার ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হবে।

সর্বশেষ খবর