ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাকে মর্যাদা দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আশা করি সেভাবেই তারা (ভারত) বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফিরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, কৃষক দলের সহসভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন, ভিপি ইব্রাহিম, শাশীমুর রহমান শাশীম, সৈয়দ ওবায়দুর রহমান টিপু, শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, নিঃসন্দেহে ভারত আমাদের প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশ। নতুন সরকারের কাছে একটাই আশা করব, তাদের দেশে যেভাবে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, এখনো তাদের নির্বাচন কমিশন যেভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, তাদের বিচার বিভাগ যেভাবে কাজ করতে পারে, আমরা ১৯৭১ সালে সেই লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম। আমরা দেশে গণতন্ত্রকে সেভাবেই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমাদের প্রত্যাশা নতুন সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাকে তারা মর্যাদা দেবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নেই। এটা তো এখন আজিজ আর বেনজীরের আওয়ামী লীগ। বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সম্পূর্ণ বাজেটটাই হচ্ছে তাদের লুটপাটের। তিনি বলেন, সরকারের লোকজন যার যা খুশি তাই করছে। একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে দেশে। এরা পরিকল্পিতভাবে দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এমন উন্নয়ন করেছে সরকার, জনগণ এখন ঢাকা শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে।
