বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঘর পেলেন আরও ১৮,৫৬৬ জন

আশ্রয়ণের ঘর জীবন বদলে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আশ্রয়ণের ঘর জীবন বদলে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

আরও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী -পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে দেওয়া বাড়িগুলো গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের মাঝে আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা এনে দিয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যারা জমিসহ ঘর পেয়েছেন, তাদের জীবন বদলে গেছে।  গতকাল সকালে গণভবন থেকে আশ্রয়ণ-২ পরিকল্পনার আওতায় সারা দেশে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ঘর হস্তান্তরের আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। সেটিই আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি। এ জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা।’ এ সময় সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে তাঁর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ঝড়ে কোথায় ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, সেই বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়েছি, তথ্য সংগ্রহ করেছি। তাদের ঘর করে দেব। আর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আপনাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে যারা ঘর পেয়েছেন, এটি তাদের নিজেদের সম্পত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে ঘর পাচ্ছেন, এটা আপনাদের নিজের সম্পত্তি। এটার যত্ন নেওয়া আপনাদের দায়িত্ব।’ এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করাই নিজের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকটা গ্রামকে আমরা নাগরিক সুবিধার আওতায় নিয়ে আসব। সেই নাগরিক সুবিধা আমরা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। পাশাপাশি রাস্তাঘাট উন্নয়ন, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করছি। যার সুফল মানুষ ভোগ করছে।’

এ সময় চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার কমানোসহ তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন গণমুখী পদক্ষেপ ও অর্জন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোথাও পিছিয়ে থাকবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব কথা দিয়েছিলাম, গড়েছি। এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে পথচলা শুরু হবে। সে জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। কোথাও যাতে অনাবাদি জমি না থাকে, সে জন্য দেশের মানুষের প্রতি তাঁর অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা কারও কাছে ভিক্ষা করে চলতে চাই না, হাত পেতে চলতে চাই না। যতটুকু সম্ভব, তা কাজে লাগিয়ে মাথা উঁচু করে চলব। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা দরকার। আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় এক-এগারোর অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন ভিত্তিহীন মিথ্যা-বানোয়াট, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সেদিন এর প্রতিবাদ করেছিল এবং গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পঞ্চম পর্বের দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার ৫৬৬টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি ২৬ জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী গতকাল লালমনিরহাটে ১ হাজার ২৮২টি, কক্সবাজারে ২৬১টি এবং ভোলা জেলায় ১ হাজার ২৩৪টি বাড়ি হস্তান্তর করেন। নতুন ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত জেলা ও উপজেলা নিয়ে সারা দেশে জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৮টি এবং উপজেলা হলো ৪৬৪টি। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রান্তে এমপি-মন্ত্রী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বদলে যাওয়া জীবনের গল্প শোনালেন আশ্রয়ণের সুবিধাভোগীরা : প্রধানমন্ত্রীকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সুবিধাভোগীরা জানান, একটি ঘর কীভাবে বদলে দিয়েছে তাদের জীবন। দৈনন্দিন জীবনমানে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসার বর্ণনাও দেন তারা।

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পূর্ব দরগাপাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ঘর পাওয়া হোসনে আরা বলেন, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী ও স্বামী পরিত্যক্ত নারী। অনেক সময় না খেয়ে সময় পার করে দিয়েছি। মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করেছি। প্রতিবন্ধী বলে স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। কেউ সাহায্য করেনি। মানুষের কাছে অনেক কটু কথা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, আপনার কাছ থেকে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড পেয়েছি। আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। মনে হয়েছিল যেন মরে যাই, কিন্তু মেয়েদের দিকে তাকিয়ে মরতে পারিনি। আপনার কাছ থেকে একটি ঘর পেয়েছি, বিদ্যুৎ পেয়েছি, পানি পেয়েছি। এর মাধ্যমে মেয়েদের নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস ও শক্তি পেয়েছি। আমরা আপনার কাছে ঋণী।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মহিষামুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাবু মিয়া প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি ঘর দিয়েছেন আমরা অনেক সুখে আছি। আমার যখন ঘর ছিল না, তখন অনেক কষ্টে থেকেছি। হোটেলে কাজকাম করতাম। বাড়িতে থাকার জায়গা ছিল না। মানুষের বাড়িতে থেকেছি। আমার মা বৃদ্ধ ছিল। আমরা মা ও ছেলে মিলে হোটেলে কাজ করতাম। কিন্তু থাকার জায়গা ছিল না। তিনি বলেন, সারা দিন কাজ করে, সারা রাত জেগে আবারও সকালে হোটেলে চলে যেতাম। ছেলেমেয়ে নিয়ে মানুষের বাড়িতে থাকতাম। ঝড়বৃষ্টিতে মাথা গোঁজার জায়গা ছিল না। আমার মেয়ে বলত ‘বাবা, আমাদের কি কখনো বাড়ি হবে না’ আমি বলতাম, ধৈর্য ধরো মা, আমাদেরও হবে একদিন। কিন্তু আমি অসুস্থ মানুষ, কীভাবে হবে কিছুই বুঝতাম না। প্রধানমন্ত্রী আপনার চেষ্টায় আজকে ঘর পেয়েছি। আজকে আমি খুব ভালো আছি। ভোলার চরফ্যাশনের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী বিধবা নারী বিবি আয়েশা বলেন, আমার বাড়িঘর নদী ভাইঙা ফেলেছে। ২৪ বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছে লিভার ক্যান্সারে। আমার একটা ভাঙা ঘর ছিল, আমার কোনো সামর্থ্য ছিল না একটা টিন ঘরে লাগানোর। আপনি ঘর দিয়েছেন, বিদ্যুৎ দিয়েছেন, স্কুল দিয়েছেন, ঘাটলা দিয়েছেন। আমি অনেক খুশি হয়েছি। আমি কখনো ভাবিনি, আমি একটা ঘর পাব। আমি নামাজ পড়ে দোয়া করি, যেন আপনি ভালো থাকেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রথম জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)-এর লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় অভিযোজন কর্মসূচি চালু করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকার জন্য প্রথম এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। জিসিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অধ্যাপক প্যাট্রিক ভি. ভারকুইজেন গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তাঁর হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, স্থানীয়ভাবে প্রণীত জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচি গ্রহণে অগ্রণী ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ এ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। তিনি বলেন, জিসিএ’র নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী পুরস্কার প্রাপক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকবেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগের ওপর প্রথম দেশ হিসেবে ইনোভেশন ইন ডেভেলভিং ফাইন্যান্স বিভাগে গ্লোবাল লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড (এলওজিআইসি) পেয়েছে বাংলাদেশ।

পুরস্কার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এ মর্যাদাপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করতে পেরে আমি গভীরভাবে সম্মানিত। অটুট সহনশীলতা এবং উদ্ভাবনী চেতনা সব সময় প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের পথ দেখিয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ স্বীকৃতি টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ুসহনশীলতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে এবং আমরা একটি সমৃদ্ধ ও স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের দিকে আমাদের যাত্রায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের অমূল্য সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।’ তিনি ভারকুইজেনকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তাঁর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী এবং জিসিএ’র সিইও একমত হন যে, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য জলবায়ু তহবিলে তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। ভারকুইজেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ প্রদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তাঁকে এ দাবিতে আরও সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানান। ভারকুইজেন ডেনমার্কের জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ ছাড় করায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান, অন্যথায় ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা ফেরত যাবে। জিসিএ নেদারল্যান্ডসের রটারডামে তার অফিসের মতোই ঢাকাসংলগ্ন একটি আইকনিক প্রকৃতিভিত্তিক ভাসমান অফিস নির্মাণের প্রস্তাব করেছে। যে অফিসটি এর স্বতন্ত্রতার কারণে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে। কার্যালয় নির্মাণে কুতুবদিয়াসহ ঢাকার বাইরের এলাকা বিবেচনা করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। ভারকুইজেন জলবায়ু পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে অভিযোজন কর্মসূচির প্রশংসা করেন। জিসিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, এ লক্ষ্যে আপনার ভূমিকা দেখে আমি উৎসাহিত হয়েছি। আমি যেখানেই যাই, জলবায়ু অভিযোজনের জন্য আমি বাংলাদেশ এবং আপনার কথা (প্রধানমন্ত্রী) উল্লেখ করি। তাই আপনি আমাকে আপনার দূত হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসাডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর