গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। বহিরাগত জান্নাতি আকতার নামের ওই নারী হঠাৎ বিদ্যালয়ে ঢুকে ছুরিকাঘাতের ওই ঘটনা ঘটায়। আহতদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে ভর্তি তিন শিক্ষার্থী হলেন- সেতু, মিতু ও রাবেয়া। তারা তিনজনই ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। এর মধ্যে ছুরির আঘাতে সেতুর বাম হাত, মিতুর পিঠ ও রাবেয়ার দুই পা ও মাথায় জখম হয়। আহত অন্য দুই শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটক নারীর নাম জান্নাতি আকতার (২১)। তিনি সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আশিক মিয়ার স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ে মেয়েদের ক্লাস চলছিল। ক্লাস চলার ফাঁকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে গল্প করছিল। এ সময় হঠাৎ করে এক নারী বিদ্যালয়ে ঢুকে তার হাতে থাকা ধারালো একটি ছুরি দিয়ে শিক্ষার্থীদের কোপাতে থাকে। পরে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই নারীকে আটক করে। উপস্থিত কেউ কেউ ওই নারীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রনজু মিয়া বলেন, জান্নাতি আক্তার দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। বছর দেড়েক আগে গয়েশপুর গ্রামের আশিক মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার কারণে জান্নাতি তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে জান্নাতি হঠাৎ স্কুলে ঢুকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়। তবে কেন কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।