শিরোনাম
বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
উৎকণ্ঠা মানসিক স্বাস্থ্যতে

ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ার পর মৃত্যু কনস্টেবলের

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনা মডেল থানার কনস্টেবল রুবেল মিয়া (২৮) ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে হাসপাতালে এক দিন পর মারা গেছেন। বড় বোনের কাছে পাঠানো ‘আপু আমাকে মাফ করে দিও’ এমন মেসেজ দেখে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে দ্রুত পুলিশ উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় সায়েম ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সোমবার সন্ধ্যায় মারা যান বলে নিশ্চিত করেছে পরিবার ও নেত্রকোনা পুলিশ। জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান জানান, এ ঘটনায় নেত্রকোনা মডেল থানায় ইউডি মামলা হবে।

রুবেল মিয়া ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার সনাটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ ও নুরন্নাহার খাতুন দম্পতির পাঁচ ছেলে-মেয়ের মধ্যে বড়। চাকরির সুবাদে নেত্রকোনা শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় স্ত্রী জেসমিন আক্তার ৬ বছর বয়সী ছেলে, ৮ মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট বোন রিতা আক্তার জানান, আমার ভাই গত রবিবার দিনগত রাতে ১২টা ২০ মিনিটে আমাকে মেসেজ পাঠায়- ‘আপু আমাকে মাফ করে দিও। আমি বিদায় নিচ্ছি।’ মেসেজটি দেখি রাত ১টা ২০ মিনিটে। পরে দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোটভাই রাসেল মিয়ার সঙ্গে কথা বলে পুলিশের জরুরি সেবায় জানানো হলে তারা প্রথমে নেত্রকোনা হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ। পরে আইসিইউ না পাওয়ায় বেসরকারি সায়েম নামের হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপরে সন্ধ্যায় মারা যান।

মা নুরুন্নাহার বলেন, কী নিয়ে কী করেছে কেমনে বলব। তবে তিনি বলেন, আমার ছেলের রাগ বেশি।

পুলিশের মুখপাত্র মো. লুৎফুর রহমান বলেন, ‘কনস্টেবল রুবেল মিয়া সাড়ে আট বছর আগে পুলিশে যোগদান করেন। দেড় বছর আগে নেত্রকোনা মডেল থানায় যোগদান করেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে নেত্রকোনায় থাকতেন। স্ত্রী চলে গেলে থানা ব্যারাকে চলে আসেন। সেখানে প্রতিদিনের ন্যায় রুবেল রবিবার রাতে খাবার খেয়ে ব্যারাকে ঘুমালে রাতে খবর পেয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর