বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

কুয়েতে আগুনে নিহত ৪৯ জন

প্রতিদিন ডেস্ক

কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহমাদি গভর্নরেটের মানগাফ এলাকায় বহুতল আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। শ্রমিকদের আবাসন কাজের জন্য ব্যবহৃত ওই ভবনের অগ্নিকান্ডে আহত হয়েছেন আরও অর্ধ-শতাধিক। গতকাল স্থানীয় সময় ভোরের দিকে ছয় তলা ভবনে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সূত্র : গালফ নিউজ, ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ভোরের দিকে মানগাফ এলাকার ছয় তলা ওই ভবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ খবর পায় সকাল ৬টার দিকে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আইদ রাশেদ হামাদ এবং পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডার কুয়েতের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, যে ভবনটিতে আগুন লাগে সেটি শ্রমিকদের জন্য ব্যবহার করা হতো। অগ্নিকান্ডের সময় সেখানে অনেক শ্রমিক ঘুমিয়ে ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েক ডজন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অগ্নিকান্ডে অনেকে মারা গেছেন। দেশটির জেনারেল ফায়ার ডিপার্টমেন্টের একটি সূত্র বলছে, ভবনটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে আগুন লাগার পর ধোঁয়া ওপরের দিকে উঠে যায়। যে কারণে সেখানে ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিকরা দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন। কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ঘটনার পর মানগাফ ও তার আশপাশের এলাকার সব হাসপাতালে উচ্চ-সতর্কতা জারি করেছে। অগ্নিকান্ডে আহত অন্তত ৪৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনই ভারতীয় নাগরিক। ওই ভবনে ১৯৫ জন শ্রমিক ছিলেন; যাদের বেশির ভাগই কেরালা ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। তবে হতাহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক আছেন কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। ঘটনার পর কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল সুবাহ অগ্নিকান্ডের স্থান পরিদর্শন করেন। তিনি রিয়েল এস্টেট মালিকদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন ও অতি লোভের কারণে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, এসব কারণেই এ ঘটনায় ভূমিকা রেখেছে। তিনি মানগাফের ধ্বংসাত্মক এ অগ্নিকান্ডকে ‘প্রকৃত বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন। জানা গেছে, অগ্নিকান্ডের শিকার ভবনটি মালয়ালি ব্যবসায়ী কেজি আব্রাহামের মালিকানাধীন এনবিটিসি গ্রুপের।

সর্বশেষ খবর