শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

পলিথিন জড়িয়ে মধ্যরাতে প্রবেশ করে ব্যাংকে

চুরির ঘটনায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় আইএফআইসি ব্যাংকে সিন্দুক ভেঙে ২৯ লক্ষাধিক টাকা চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলাটি করেন।

এর আগে বুধবার রাতের কোনো একসময় শহরের মাটিডালি এলাকায় আইএফআইসি ব্যাংকের স্থানীয় একটি উপশাখায় এ চুরির ঘটনা ঘটেছিল। আইএফআইসি ব্যাংক বগুড়ার মাটিডালি শাখার ব্যবস্থাপক ফাহমিদা ফিরোজ বলেন, ‘আমার মুখ বন্ধ, আমি আপনাকে কিছু বলতে পারছি না। আমার ব্যক্তিগত বা বাংক-সংক্রান্ত কিছুতেই আমাকে জড়ানো ঠিক হবে না। আমাদের আইন শাখার কয়েকজনকে নিয়ে একটি টিম বানানো হয়েছে, তারাই বিষয়টি দেখছেন। এ ছাড়া বগুড়ার পুলিশ বিভাগ থেকেও আমাদের কথাগুলো বলছেন।’ আইএফআইসি ব্যাংক বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক তাজমিলুর রহমান জানান, দুজন দুর্বৃত্ত গায়ে পলিথিন জড়িয়ে বুধবার রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতল ভবনের টিনশেডের সিঁড়ির ঘরের ইট খুলে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর তালা ও ভল্ট ভেঙে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে কর্মচারীরা শাখা খোলার পর চুরির বিষয়টি টের পান। পরে পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ভবন মালিক অ্যাডভোকেট শাজাহান আলী জানান, শুধু দিনের বেলা তদারকির জন্য জাহেদুর রহমান নামে একজন কেয়ারটেকার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিংয়ের সময় সার্বিক পরিস্থিতি দেখভালের জন্য তাদের একজন ওয়াচম্যান রয়েছেন।

জানা যায়, দ্বিতল যে ভবনটিতে ব্যাংকের শাখা রয়েছে তার পেছনে করতোয়া নদী। আর দক্ষিণে দ্বিতল অন্য ভবনের ছাদ থেকে খুব সহজেই ব্যাংকের সিঁড়িঘরের ছাদে যাওয়া-আসা করা সম্ভব। পুলিশ এবং ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চোরেরা সিঁড়িঘরের ইট সরিয়ে ভবনটিতে প্রবেশ করে। চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আইএফআইসি ব্যাংকের ওই উপশাখায় সব ধরনের লেনদেন বন্ধ রাখা হয়।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার জানান, ব্যাংকটি যে ভবনে অবস্থিত সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। দিবাকালে একজন ওয়াচম্যান এবং একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী থাকলেও কোনো নৈশপ্রহরী ছিল না। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকে অযাচিত কেউ ঢুকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের প্রধান কার্যালয়ে সতর্কসংকেত পৌঁছানোর কথা থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা ঘটেনি। ব্যাংকগুলোর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর