শিরোনাম
রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে তর্কযুদ্ধ

আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেব না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে মর্টার শেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা আগ বাড়িয়ে আক্রমণ না করলেও আক্রমণ প্রতিহতের প্রস্তুতি আমাদের আছে। আমাদের খাটো করে দেখার কিছু নেই। আমরা আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেব না। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। যে কোনো সময় সরকারের পতন হবে- বিএনপির নেতার এ বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার পরিবর্তনের জন্য গণঅভ্যুত্থান বা নির্বাচন করতে হবে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেছে। বাকি রইল গণঅভ্যুত্থান। তাদের নেতা-কর্মীরা তো এখন আন্দোলন করছেন না। আন্দোলনের মানসিকতাই তাদের নেই। জনগণ যে আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকবে না, সেটা কোনো দিন গণঅভ্যুত্থান হতে পারে না। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশে সংকট আছে তবুও অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ। রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে বাংলাদেশ প্রশংসিত হলেও বিশ্ব সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি বাড়তি চাপ হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে যে সাহায্য প্রয়োজন তার পরিমাণ অনেক কমে গেছে। চলমান অর্থনৈতিক সংকটে আমরা চিন্তায় আছি। ১০-১২ লাখ রোহিঙ্গা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে আছে। আমাদের প্রশংসার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন কাঁধ থেকে রোহিঙ্গাদের বোঝা নামিয়ে ফেলা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান সর্বাগ্রে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড ল্যুর বাংলাদেশকে নিয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডোনাল্ড ল্যু কোথায় কী বললেন সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তারা কোন সময় কোন বিষয়কে নিয়ে নিন্দা করে আবার প্রশংসা করবে সেটা তাদের বিষয়। আমরা আমাদের নীতিমালার আলোকে সংবিধানকে অনুসরণ করে এগিয়ে যাব। জাতিসংঘ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতিসংঘ এখন নখদন্তহীন। তাদের কথা ইসরায়েল শোনে না। বড় বড় দেশগুলোও শোনে না।

সর্বশেষ খবর