বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মিয়ানমার আক্রমণে এলে আমরা বসে থাকব না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমার আক্রমণে এলে আমরা আঙুল চুষব না- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করে, তবে বাংলাদেশ বসে বসে থাকবে না। তিনি আরও বলেন, সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হলে, আলাপ-আলোচনার সময় পেরিয়ে যদি যায়, যদি সত্যিই তারা আক্রমণে আসে- তখন কি আমরা বসে থাকব? তখন আমাদেরও পাল্টা জবাব দিতে হবে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

‘সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে’- বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কীভাবে নতজানু, সেটা একটু ব্যাখ্যা করে দিক না। সেন্টমার্টিনে যে গুলিটা এসেছে, সেটা মিয়ানমার সরকার করেনি। এটা আরকান আর্মি নামে যে বিদ্রোহীরা আছে, তাদের গুলি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সার্বভৌমত্ব ঠিক আছে। আমরা এখনো কোনো আক্রমণ দেখিনি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ৫৪টি গোষ্ঠী আছে। ওদের অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা। তাদের নৃতাত্ত্বিক বিদ্রোহীরা আছে। তাদের থেকেই এসব ঘটনা ঘটছে। যে কোনো উসকানির মুখে বাংলাদেশ যুদ্ধে না জড়িয়ে আলাপ-আলোচনায় সমাধানে বিশ্বাসী। সেখানে যে জাহাজের কথা বলা হয়, সে জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার উসকানি দিলে আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব। একটা সমাধান বের করব। যুদ্ধে জড়াব না।

তিনি বলেন, আমরা সরকারে আছি, আমাদের দায়িত্ব আছে, কর্তব্য আছে। সার্বভৌমত্ব চলে গেলে আমাদেরই ব্যথা লাগবে বেশি। কারণ, এ জাতির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার লড়াইয়ে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মির্জা ফখরুল ইসলাম তখন (মুক্তিযুদ্ধের সময়) কী করেছেন, কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন- তা জানি না। এসব কথা বলে লাভ নেই। যতদিন সম্ভব শেষ পর্যন্ত আমরা আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে চেষ্টা করব।

বেপরোয়া ড্রাইভিং, মোটরবাইক ও ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা : সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সময় বলেন, বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। ইদানীং বেপরোয়া ড্রাইভিং, মোটরবাইক ও ইজিবাইকের কারণে সারা দেশে দুর্ঘটনা ঘটছে। এত উন্নয়নের মধ্যেও সড়কের বিশৃঙ্খলা আমাদের ভোগাচ্ছে। তিনি বলেন, ইদানীং যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে, তার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাই বেশি হচ্ছে। বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণেই বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপর আছে ইজিবাইক। তারাও বেপরোয়া গতিতে এটি চালাচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিরা ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচলের অনুমতি দিচ্ছেন। সড়ক থেকে এ বাহনগুলোকে বাদ দেওয়ার উপায় নেই। সে জন্য নীতিমালাটা খুব জরুরি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের জীবন আগে, জীবিকা পরে। এক্ষেত্রে জীবিকাকে রক্ষা করতে গিয়ে জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে। তিনি বলেন, সড়কে ঈদযাত্রা অনেকটা ভালো হয়েছে। কিন্তু ফিরতি পথের বিষয়টি এখনো রয়েছে। এদিকে অনেকের নজর কম থাকে, তাই দুর্ঘটনাও ঘটে অনেক সময়। তাই ফিরতি পথটাও এখন দেখতে হবে।

সর্বশেষ খবর