শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

আমলাদের একটা অংশ দুর্নীতিপরায়ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমলাদের একটা অংশ দুর্নীতিপরায়ণ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমলাদের একটা অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছে। এই অল্পসংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ আমলার কারণে পুরো আমলাতন্ত্র দুর্নীতির ভাগিদার হচ্ছে। উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।বিশেষ করে কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে আমাদের দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।

এ কারণে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পতির হিসাব দেওয়া এখন সময়ের দাবি। এসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে দুর্নীতি কমবে। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির কারণে সরকারের প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ হয় না। এতে প্রকল্প ব্যয় বাড়ে। অনুদানের আওতা বাড়ে। প্রধানমন্ত্রী এই বাজেটে দুর্নীতি বন্ধ ও বিদেশে অর্থ পাচারের জন্য যে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন, তার যথাযথ পদক্ষেপ জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে। আমরা চাই ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা অর্জিত হবে। বাজেট শুধু বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসাব নয়, এটা জনগণের বছরের প্রত্যাশা। সেদিক থেকে আমাদের বাজেট অনন্য। শেখ হাসিনা এখন জাতির আস্থা, তাই আপামর জনগণ শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছে। বাজেটের উদ্দেশ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজস্ব বাড়ানো, রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া। কর্মসংস্থান না থাকায় প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ কেন অবৈধ পথে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে? সরকারি তথ্য মতে, আমাদের দেশে মাত্র ৬.৩ ভাগ লোক বেকার। অথচ, আমার জানা মতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ছয়জন মানুষ আমার অফিসে চাকরির জন্য আসে। পাবলিক সেক্টর সাধারণত উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে। সে কারণে তাদের যথেষ্ট ব্যাংক ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকা দরকার। বাজেটের ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিচ্ছে। এতে সত্যিকারের বিনিয়োগকারীরা ঋণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। তাতে  অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব যাতে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোর বেহাল অবস্থা। বাজেটে প্রতিকার থাকলে জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতো। সেখানে কালো টাকাকে শতকরা ১৫ ভাগ কর দিয়ে সাদা করার প্রস্তাব সৎ করদাতাদের হতাশ করেছে। রাজস্ব বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ৩০-৩৫ লাখ মানুষ কর দেয়, এটি মাত্র ৬.৭ ভাগ। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমি প্রস্তাব করেছিলাম যার এনআইডি থাকবে তাকে প্রতি বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে। এর মধ্যে যাদের টিন থাকবে বা আয়কর দেওয়ার সুযোগ থাকবে, তারা আয়করের আওতায় আসবে। এটা করা গেলে আয়করদাতা ৩০-৩৫ লাখ থেকে বেড়ে ২-৩ কোটি হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর