শিরোনাম
শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

হাথুরাসিংহের চাওয়া চাপমুক্ত ক্রিকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হাথুরাসিংহের চাওয়া চাপমুক্ত ক্রিকেট

যে টার্গেটে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে বাংলাদেশ, শতভাগ পূর্ণ হয়েছে সেটা। ঢাকা ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর সময় টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, কোচ চন্ডিকা হাথুরাসিংহে ও টিম ম্যানেজমেন্ট চেয়েছিলেন সুপার এইট খেলতে। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে তিন জয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছেন নাজমুলরা। ২০০৭ সালের প্রথম আসরের ১৭ বছর পর দ্বিতীয়বার  সুপার এইট খেলছে টাইগাররা। সুপার এইট খেলার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় টাইগার কোচ হাথুরাসিংহে শিষ্যদের চাপমুক্ত হয়ে উপভোগ্য ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘আমরা যখন এই টুর্নামেন্ট খেলতে আসি, আমাদের টার্গেট ছিল সুপার এইট। আমরা দারুণভাবে সেটা পূর্ণ করেছি। বোলাররা আমাদের খেলায় টিকিয়ে রেখেছে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে কাজে লাগাতে পেরেছি। সামনের দিনগুলো, মানে সুপার এইটে আমরা যা কিছু পাব, আমাদের জন্য সেসব বোনাস। এখন তাই অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলব। গ্রুপের প্রতিটি দলকেই যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জ জানাব।’ চাপমুক্ত খেলার পরামর্শে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ।

সুপার এইটের টার্গেটে মূল আসরে দারুণ খেলেছে টাইগাররা। যদিও টপ অর্ডার ব্যাটিং লাইন পুরোপুরি ব্যর্থ। রানে নেই অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। সর্বশেষ ১২ ইনিংসে খেলতে পারেননি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। সর্বশেষ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সিলেটে শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। রানে নেই লিটন দাস, এমনকি তানজিম তামিমও ধারাবাহিক নন। অধিনায়কের ছন্দহীনতায় সমালোচনার মুখে পড়েন। অধিনায়কের এমন বাজে পারফরম্যান্সের পরও তার পাশে দাঁড়িয়েছেন টাইগার কোচ, ‘শুধু শান্ত নয়, গ্রুপ পর্বে বেশির ভাগ দলের টপ অর্ডারই রান খরায় ভুগেছে। নতুন বলে উইকেটগুলো ব্যাটারদের জন্য কঠিন ছিল। কত রানের উইকেট, এটা না বুঝেই প্রতিটি দল খেলতে নেমেছে। খেলার মাধ্যমে ব্যাটসম্যানকে কন্ডিশন বুঝতে হচ্ছে। শান্ত ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়। বাংলাদেশ দলের জন্য সে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান। আমি নিশ্চিত, কন্ডিশন ভালো হলে সেও ভালো করবে। সব টপ অর্ডারের জন্যই এটা চ্যালেঞ্জিং।’

টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন বোলাররা। তিন পেসার তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান এবং লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন দুরন্ত বোলিং করেছেন। গ্রুপ পর্বের ৪ ম্যাচে চার বোলার একত্রে ৩০ উইকেট নেন। তানজিম নেন ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট, ৪ ম্যাচে ৭টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, মুস্তাফিজ ও রিশাদ। সাকিব ২টি ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এক উইকেট নেন। বোলারদের প্রশংসা করেছেন টাইগার কোচ, ‘বোলাররা আমাদের ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছে।’ চাপমুক্ত ও উপভোগ্য ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিলেও দায়িত্বহীন না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আমরা খেলছি ম্যাচ উপভোগ করার জন্য। উপভোগের সুযোগটি আমরা ক্রিকেটারদের থেকে ছিনিয়ে নিতে চাই না। তবে এর মানে এমন না যে, তাদের যা খুশি করার লাইসেন্স আছে। প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে হবে। খেলার মাঠে অবশ্যই উপভোগের মন্ত্র সামনে থাকবে। তবে সবারই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

সর্বশেষ খবর