শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাচারের নিরাপদ রুট এখন চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

দিনদিন সোনা পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলা। এ জেলার দর্শনা, জীবননগর ও কার্পাসডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে। বর্তমানে দেশের এ সীমান্ত এলাকা আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিদের কাছে সোনা পাচারের অন্যতম নিরাপদ রুট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রায়ই এ জেলার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ছোট-বড় সোনার চালান ধরা পড়ে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল দর্শনার নাস্তিপুর এলাকা থেকে ৩৭ কেজি ওজনের ৩২০টি সোনার বার আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। ভারতে পাচারের সময় চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় আটক হওয়া একটি বড় চালান এটি। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর দর্শনার রুদ্রনগর এলাকা থেকে ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম ওজনের ৯৬টি সোনার বারসহ এক পাচারকারীকে আটক করে বিজিবি। এর আগে একই বছরের ৮ অক্টোবর দর্শনার বারাদী সীমান্ত এলাকা থেকে ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম ওজনের ৬৮টি সোনার বার জব্দ করা হয়। এ সময় পাচারকারী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর সময় ডুবে মারা যান। অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দর্শনার নাস্তিপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ৯ কেজি ৮৬০ গ্রাম ওজনের ৫৮টি সোনার বারসহ এক পাচারকারীকে আটক করে বিজিবি। একই দিন চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে ৫০ ভরি ওজনের পাঁচটি সোনার বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া প্রায়ই দর্শনা, জীবননগর ও কার্পাসডাঙ্গা এলাকার বিভিন্ন সীমান্তে ছোট-বড়  সোনার চালান ধরা পড়ে বিজিবি, কাস্টমস ও পুলিশের হাতে। ফলে এ এলাকার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষের মতে- চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত এলাকাগুলো দিন দিন সোনা পাচারের নিরাপদ রুট হয়ে উঠছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে, সোনা পাচারের সময় যাদের আটক করা হয় তাদের বেশির ভাগই বহনকারী। বেশির ভাগ সময়ই এরা সোনার প্রকৃত মালিকের সন্ধান দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় বড় পাচারকারীরা।

সর্বশেষ খবর