শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
এমপি আনার খুন রহস্য

জিহাদকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

কন্যা ডরিনকে ডাকল ভারতের সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কলকাতা প্রতিনিধি

জিহাদকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কলকাতা পুলিশ। উদ্ধার করা দেহাংশের সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মেলানোর জন্য স্বজনদের ভারতে যেতে বলা হয়েছে। এমপি আনারের বক্তিগত সহকারী আবদুর রউফ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকতা জানান, পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে এমপি আনারের পরিবারকে ডেকেছে কলকাতা পুলিশ। এই সপ্তাহের মধ্যেই তারা কলকাতা যাবেন। এমপি আনারের মেয়ে ডরিনসহ তিনজনের কলকাতা যাওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে এমপি আনার হত্যা মামলায় গ্রেফতার কসাই জিহাদ হাওলাদারকে ফের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের (জেল হেফাজত) নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের আদালত। গতকাল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত জেলা ও দায়রা আদালত এই নির্দেশ দেয়। যদিও এদিন আদালতে তোলা হয়নি জিহাদকে। দমদমের কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন জিহাদ। সেখান থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আসামির সঙ্গে কথা বলে তার বক্তব্য শোনেন এবং পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভঙ্কর বিশ্বাস। সে ক্ষেত্রে আগামী ৫ জুলাই ফের তাকে আদালতে তোলার কথা। গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন এমপি আনার। এ ব্যাপারে আনারের বন্ধু ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস কলকাতার উত্তর শহরতলির বরাহনগর থানায় জিডি করার পর দুই দেশে তদন্ত শুরু হয়। ২২ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এমপি আনারকে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যে বাংলাদেশের পুলিশ শিমুল ভুঁইয়া, তানভীর ভুঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে গ্রেফতার করে। কিন্তু হত্যাকান্ডের হোতা শাহীন নেপালের কাঠমান্ডু হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে জানায় পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কসাই জিহাদকে গ্রেফতার করে। আর শাহীনের সহকারী সিয়াম হোসেন কাঠমান্ডুতে গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে নেপালের পুলিশ। কলকাতা সিআইডির তথ্য মতে, আনারকে খুনের পর নিউ টাউনের বাসা থেকে তার শরীরের টুকরো টুকরো করা মাংস ট্রলি স্যুটকেসে ভরে বাগজোলা খালে ফেলা হয়। এর আগে কলকাতার ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকেও মাংসের টুকরা উদ্ধারের কথা জানিয়েছিল পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সেগুলো ভারতের কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। সেসব দেহাংশগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এমপি আনারের রক্তসম্পর্কীয় আত্মীয়দের সেখানে ডাকা হয়েছে। এমপি আনারের ঘটনায় ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা করেন তার মেয়ে ডরিন। সেই মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। কলকাতায় খুনের মামলা তদন্ত করছে সে দেশের সিআইডি।

সর্বশেষ খবর