শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জাতিসংঘ

রোহিঙ্গা সমস্যা দূর করতে কাজ শুরু করেছেন জুলি বিশপ

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বেশ কবার প্রস্তাব পাসের পরও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পথে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এর ফলে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুটি শুধু বাংলাদেশকেই নানা ঝুঁকির মধ্যে নিপতিত করেনি, একই সঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতি ও ভয়ংকর হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এর প্রতিকারে জাতিসংঘের সর্বশেষ অবস্থান কী? ২০ জুন নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংকালে মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হকের কাছে জানতে চেয়েছেন এই প্রতিবেদক। জবাবে ফারহান হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বসতভিটায় ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরির জন্য যা দরকার তা জাতিসংঘ করছে। এ সমস্যার সঙ্গে জড়িত সব রাষ্ট্র ও সরকারের সঙ্গে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে নিরাপদে যাতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে পারে। তবে সে পরিবেশ তৈরির ধারেকাছেও এখনো আমরা পৌঁছাতে পারিনি। মিয়ানমার বিষয়ে কাজের জন্য জুলি বিশপ নামে নতুন একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করেছেন মহাসচিব। তিনি ইতোমধ্যে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। দেখা যাক কী ঘটে।’ উল্লেখ্য, ২০ জুন ছিল বিশ্ব শরণার্থী দিবস। সে আলোকে বাংলাদেশে ১৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থীর ইস্যুটি উপস্থাপন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রতিদিনের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল ‘গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড’ (জিসিএফ) মানে ‘সবুজ জলবায়ু তহবিল’ নিয়ে। উন্নত দেশগুলো এ তহবিলে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করলেও গত বছর পর্যন্ত বার্ষিক গড়ে ২ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের মতো পাওয়া গেছে। জিসিএফের ভূমিকা ধীরগতিতেই চলতে থাকবে? জবাবে উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের পরিস্থিতির ব্যাপারে তাঁর সম্যক ধারণা রয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন জিসিএফ সত্যিই একটি সার্থক এবং গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। জাতিসংঘ চায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা যতটা সম্ভব জমা হোক, কারণ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হওয়া দরকার।

সর্বশেষ খবর