শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

দক্ষিণ কোরিয়াকে পুতিনের হুঁশিয়ারি

প্রতিদিন ডেস্ক

চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়াকে সতর্ক করে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, সিউল যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভকে অস্ত্র দেয়, তবে তা হবে ‘বড় ধরনের ভুল’। বিবিসি।

সম্প্রতি রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি সার্বিক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে কোনো পক্ষ আগ্রাসনের শিকার হলে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় সিউলের পক্ষ  থেকে কিয়েভকে অস্ত্র দেওয়ার সম্ভাবনার কথা হয়। তারই জবাবে সিউলকে সতর্ক করলেন পুতিন।

উত্তর কোরিয়া সফরকালে দেশটির নেতা কিম জং উনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সইয়ের এক দিন পর বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন পুতিন।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, সিউল যদি কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে মস্কো এমন সিদ্ধান্ত নেবে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান নেতৃত্বকে খুশি করবে না।

এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্র দেশগুলো যদি ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া অব্যাহত রাখে, তবে মস্কোও পিয়ংইয়ংকে অস্ত্র দেবে। মূলত ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশোধ হিসেবে মস্কো এ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে আরও বলেন, ‘যারা কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করে ভাবছেন এবং যারা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াচ্ছেন না বলে মনে করছেন- তাদের বলছি, পিয়ংইয়ংসহ বিশ্বের অন্য অঞ্চলেও অস্ত্র সরবরাহ ও সংরক্ষণ করার অধিকার রয়েছে রাশিয়ার।’

এর আগে পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে চুক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনায় নিন্দা জানায় দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চ্যাং হো-জিন বলেন, তার দেশ এখন ইউক্রেনকে অস্ত্র সহযোগিতা করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছে।

এদিকে পুতিনের ওই সকর্তবার্তার পর গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের নানা উপায় তারা বিবেচনা করছে। তাদের অবস্থান নির্ভর করছে রাশিয়া এ বিষয়ে কীভাবে অগ্রসর হবে তার ওপর।

এমনকি সিউলে রুশ রাষ্ট্রদূত জর্জি জিনোভিভকে ডেকে ওই চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দ্রুত চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

অন্যদিকে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে উদ্বেগের সঙ্গেই দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো।

সর্বশেষ খবর