শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

পুলিশ কর্মকর্তার মা বাবাকে কুপিয়ে হত্যায় শনাক্ত হয়নি খুনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে নিজ বাড়িতে খুন হওয়া পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরের (এসআই) মা-বাবার খুনিদের এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়ার পশ্চিম মোমেনবাগের বটতলায় তাদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মর্মান্তিক এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত দম্পতির ছেলে এসআই আবদুল্লাহ আল মামুন। 

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। হত্যাকারী শনাক্ত করতে এবং মামলার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া মামলার ছায়া তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

নিহত শফিকুর রহমান ও ফরিদা ইয়াসমিন দম্পতির একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এসআই। তিনি মামলার এজাহারে বলেছেন, বুধবার রাত ১টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার মধ্যে তাদের বাড়িতে দুষ্কৃতকারীরা ঢুকে তার মা-বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। তবে গতকাল গণমাধ্যমকে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কারা কেন তার মা-বাবাকে হত্যা করল, এর কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। গ্রামের বাড়িতে শুধু জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণেই তার মা-বাবাকে হত্যা করা হয়েছে, তা তিনি মনে করেন না।

এ বিষয়ে পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। কিন্তু কী কারণে, কারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর নিহত দম্পতির বাড়ির কাছে কোনো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরাও নেই। এ কারণে খুনি শনাক্তে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে এসআই আবদুল্লাহ আল মামুনের বাবা-মাকে রাজধানীর মাতুয়াইল কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ মোমেনবাগের নিজ বাড়ির নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুর রহমানের (৬২) লাশ দেখতে পায়। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। দোতলায় নিজেদের শোবার ঘরে ফরিদা ইয়াসমিনের (৫৫) লাশ পান। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ঘটনার সময় নিহত দম্পতির ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন ফেনীতে দাদাবাড়িতে ছিলেন।

সর্বশেষ খবর